তুমি যাবে ভাই- যাবে মোর সাথে
আমাদের ছোট গায়
শহরতলী র কাঁচাগলীর ছোট্ট চিলেকোঠায়।
বৃক্ষ ধারণ করিয়া বক্ষ
রহিয়াছে যাহার তিনটি কক্ষ
দুটি তাহার শোবার
আর দশটি তাহার দুয়ার।
ছোট্ট মোর গৃহ খানি, খোদার ই মেহেরবানি
বৃক্ষ শাখায় আর তাহার পত্র ছায়ায়
পরিবার, বৃক্ষ আর পক্ষী
সাথে আমি তাহাদের রক্ষি্
প্রেম আর মমতায়,
রহিয়াছি মোরা জড়ায়
ভালোবাসার এক বিণী সুতায়।


প্রথম দুয়ার রহিয়াছে খোলা তাই
তুমি যাবে ভাই, যাবে মোরা সাথে
আমাদেরই এই ছোট্ট বাসায়,
বৃক্ষ সারি রহিয়াছে দাঁড়ায়
পুষ্প রাজি নুয়ে আছে সেথায়
জানাতে স্বাগত তোমায়;
যাবে তুমি ভাই- যাবে মোর সাথে
ছায়া ঘেরা, মায়া ভরা
আমাদের এই নিরালায়।


সিমেন্ট, বালু আর পোড়ামাটি
শ্রম-ঘাম মিশ্রিত গাঁথুনি তাহার খাঁটি
টিন তাহার চালা বর্ণহীন একতলা
উন্মুক্ত তাহার দুয়ার জানালা তাহার খোলা।
সঙ্গিনী মোর গৃহিণী, যেন তাহার সজনী
কাটায় সে দিবস আরও কাটায় রজনী।
সুখ-দুঃখ আর হাসি-কান্নায়
সর্বদায় রহিয়াছে তাহারা আলাপচারিতায়
তুমি যাবে ভাই- যাবে মোর সাথে
আমাদের সেই ছোট্ট খাঁচায়।


তুমি হবে মেহমান আমি মেজমান
তোমারি সম্মানে আদর আপ্যায়নে
তোমার ভালো লাগার মতন
রাঁধিবে বধূ সব করিয়া যতন।
গ্রীষ্মের দুপুর বেলায়, আমারি পান্থশালায়
আহার আর পানাহার শেষে দু-ভাই
জড়ায় রহিব মোরা এক সুখ নিদ্রায়।
ফুলের সুবাস আর দখিনা বাতাস
পাইবে তুমি সেথায় এক প্রশান্তির শ্বাস।
দিবায় শুনিবে তুমি পাক-পাখালির ডাক
নিশিতে শুনিবে তুমি পণ্ডিতের হাঁক।
বিভোর ঘুমে হয়তোবা ডাকিবে তুমি নাক
প্রভাতে জাগিবে দেখিবে, ডাকিতেছে কাক।


তোমারে শুধায়, তুমি যাবে কী ভাই-
যাবে মোর সাথে আমাদের বসুন্ধরায়।
যাবে যদি সিদ্ধান্ত কর নির্ধারণ
জানাই তোমায় মোরা মোদের নীড়ে নিমন্ত্রণ।