নদীর সাথে কথা হয় আমার
বলে হে বন্ধু, যৌবন দেখেছো কখনো?
আমার তো যৌবন এখন!
তাই আমার অভিসারে
আমি সব করি তোলপাড়
উতলা হয়ে উপচে পড়ি 
থইথই জলে করি সব চুরমার।
বাঁধ ভাঙা নদে আমি নক্ষত্রের সাথে করি চর্যা
আমার যৌবন রাখতে পারিনা বেধে
তাই আলো অন্ধকার না দেখে
যমুনা ধরে সাগরে করি মেলা।
তবে বন্ধু, তোমার যৌবন? তোমার যৌবন কোথায়? 
বাহিরে দাড়ায়ে বিস্মিত হও কেন? করার কি কিছু নেই?
অর্ধাহারে লোক ভোগে যখন খাবার থাকেনা পাতে
খোলা মাটি আকাশের নীচে খড়খোটা নীয়ে কোনমতে
নিদ্রাটুকু যারা সারে
তুমিতো দেখনা তাদেরে!
তুমি-তো শুধু তুমিতে ব্যস্ত, রসনা কর সিক্ত 
টাকার গন্ধে পসার সাজাও
গরীবের কথা ভাবকি কখনও? 
ওরাও যে মানব কোল! এ ধরণীর সন্তান
আমিতো নদী -
দেই পলিমাটি জল
কৃষকেরে উর্বর জমি
কৃষাণির সবুজ শাড়ি! আর তুমি?
আস্ফালনে প্রেম হয় নাগো 
যদি হৃদয়ে ধরেনা প্রেম 
প্রতি গরীব- নি:সের নিঃশ্বাসের গভীর বেদনা 
পাথরের মত উদরে আঘাত হানে
এ জ্বালা! ক্ষুধার জ্বালা! অগ্নি জ্বালা?
বুজো কি তা কখনও!
মুজাহিদ চৌধুরী। লন্ডন। ২০।৬।২০১৮