কথা ছিল ফাল্গুনি বাতাসে আনন্দের বন্যা বইবে চতুঃপার্শ্বে
শান্তির সমীরণে পৃথিবী নূতন কক্ষ পথে ঘুরবে
কোথায়! দিনের পর দিন বৎসরের পর বৎসর
তার সাথে দুই হাজার পনর বৎসরটিও দিশান্ত হলো।


বরং সভ্যতা কাঁপল
বারুদের গন্ধে বাঁশী থামল
অদৃশ্য চূড়া থেকে  
বাজ পাখী রক্ত মাংস ছিঁড়ে নিলো
পাখীর খাঁচায় উড়ন্ত জাহাজের বারুদ ফাটল।


দিগন্তের অন্তহীন পথে শিশুদের প্রাণ ভাসছে
অক্লান্ত চোখ ক্লান্তির ঘানি টেনে আর কত দেখা ?
যেখানে এত এত প্রতিশ্রুতি এত এত লম্বা
দসিয়ার, ফিরিস্তি, দেখে আর বাঁচি না।  


আর সইতে পারি না বিবেকের বিসর্জন দিতে
যদিও একই আকাশের নীচে বাস
একই আলোতে দেখা দেখি, থাকি ও পাশাপাশি
যদিও রক্তের আমৃত্যু বন্ধন !
তবু কেন এত হিংস্র সর্বগ্রাসী আহরণ ?
মুজাহিদ চৌধুরী। লন্ডন। ২।১।২০১৬