সে দিন যখন স্বপ্নের তীর থেকে হেংলা ছেলেটা 


স্বাধীন বাংলা স্বাধীন বাংলা উচ্চারণে


গান গেয়ে দৌড়চ্ছিল


তখন হানাদারদের শত্রু জাহাজ গোলাবারুদ নীয়ে 


নোঙর করেছে বংগ-পো সাগর তীরে।


বাঙালীরা কি জানে এ বারুদ ঝরবে তাদের বুকে 


শত্রুর থাবায় শকুনের মত ছিঁড়ে নিবে বুকের মাংস


তছনছ করে দিবে স্বপ্নের ঘর। 


সবুজে ঘেরা বাংলার মাটি মেঘে নরম, রোদে রৌদ্র কঠিন   


ছয় ঋতুর নাতিশীতোষ্ণ হাওয়া কোমল তার মতি


এই বুকে যেমন বনের হরিণ দৌড়ে নানা ছন্দে


তেমনি বাঘও থাবা মেলে ভীষণ বেগে ।


প্রাণের আবেগে যেমন জড়িয়ে কাঁদে 


তেমনি জন রুষে আগুনে ঝাপ দিয়ে মরতেও জানে। 


এমনি এক সন্ধিক্ষণে নিজের কাঁধে বাসের লাঠি 


শত্রুর কাঁধে মেশিন গান! কি অসম যুদ্ধ! 


তবুও মুক্তি যুদ্ধে জিতে নেয় দেশ 


যদিও হারালো মা বোনকে বীভৎস রূপে। 


 


সজন হারানো বিপন্ন মন! বিধ্বস্ত ঘর! বিধ্বস্ত পথ! বিধ্বস্ত দেশ! 


হাহাকারে আর্তনাদে আকাশ বাতাস ভারি করে ডুকরে ডুকরে 


কেঁদে ছিল সে দিন।


সেই আকাশে আজ মুক্তির হাসি হেসে 


পাখিরা আনন্দে ডানা মেলে উড়ে চলে দূর দূর দিগন্তে।   


মুজাহিদ চৌধুরী। লন্ডন । ১০ । ১২ । ২০১৭ ।