-: বড় কবিতা -২৯:-
          মোহাম্মদ আলী চৌধুরী।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মালিক না কি এ দেশের জনগণ,
তাহলে সংবিধানে সর্বময় ক্ষমতা কেন একজনেরে করিল অর্পন?
১৯৭২ সালে, সংবিধান প্রণয়ন কালে, সাংসদেরা আবেগের তাড়নায়,
প্রধান মন্ত্রীকে একক ক্ষমতা দিল,তিনি অপব্যবহার করবেন না
ধারণায়।
প্রেসিডেন্ট হলেন ঠুঁটো জগন্নাথ,করিতে কবর জিয়ারত আর করিতে পাঠ মিলাদ,
সংবিধানের অধীনে,১৯৭৩ সনের নির্বাচনে,সিল টাকিয়ে ভোট নিলেও কেউ করেনি প্রতিবাদ।
আজীবন গণতন্ত্রী মুজিবুর রহমান,করিয়া মালিকদেরে চরম অপমান,
টু থার্ড মেজোরিটির জোরে,সংবিধানে প্রথম চালিয়ে  দিল
স্বৈরাচারী ছুরি,
করিল প্রেসিডেন্সিয়াল ফর্ম,করল শুরু বাকশালি নর্ম,মালিকদের মুখে থুথু ছুড়ি।
বাড়াল সংসদের মেয়াদ,একদলীয় বাকশাল করলো আবাদ,
নিজেরে বানালো আজীবন প্রেসিডেন্ট,
  রাশিয়ার অবস্থা দেখে, সরকারি ৪ টি পত্রিকা রেখে,বাকি  সব  করিল বন্ধ,বুঝিল না জনগণের সেন্টিমেন্ট।
জন অধিকার করিয়া হরণ,ডাকিয়া আনিল নিজের মরণ,ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন,
জাসদের গণবাহিনী,ক্ষমতায় আনিল টানি,জিয়াউর রহমানে,
সরিয়ে কয়েক দিনের ফেরাউন।
শুনাল পুরান মন্ত্র,বহু দলীয় গণতন্ত্র,আবার করিল চালু, হইলো
সব পত্রিকার পুনঃ প্রকাশ,
মুজিবের জরুরি আইন,৬৪ ও ৭০ ধারা,কিছু করিল না হাত ছাড়া,ঢিলা করিল না ফাঁস।
তারপর যত সরকার হল,একক ক্ষমতা সংবিধানে রল,কেউ করিলনা কোনও পরিবর্তন,
মালিক জনগণ,পোষা ভেড়ার মতন,সব অনাচার, অত্যাচার,
করিতেছে শুধু পরিদর্শন।
রচনা কাল:-
ঢাকা ০৩/০৭/১৭
সকাল৬-৩০