-: বড় কবিতা -২৮:-
মোহাম্মদ আলী চৌধুরী।
১৯৯৬ সালে,খালেদা জিয়ার প্রথম শাসনামলে,দলীয় সরকারের অধীনেই হইতো নির্বচন,ছিলনা কোনো, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ,
জামায়েতের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তুলিয়া লইল আওয়ামী লীগ,হাঁকিল,সুষ্ঠ নিরবাচনের জন্যই তা দরকার।
নেত্রী আপোষহীন, একাই করিলেন নির্বাচন যা ছিল ভোটার বিহীন,আওয়ামী লীগ করেছিল বর্জন,
করিয়া আপতকালীন সরকার,সংসদে পাশ হল তত্ত্বাবধায়ক
সরকার,মঞ্চ জনতার করিল গর্জন।
৭ ম সংসদ নির্বাচনে,প্রথম তত্ত্বাবধায়কের অধীনে,সুষ্ঠ,সুন্দর
নির্বচন হল ৯৬ এর ১২ জুন,
আওয়ামীলীগ ১৪৬,বিএন পি১১৬,জাতীয় পার্টি৩২ সিট পেলো,
হলোনা কোনো মানুষ খুন।
গঠন করিতে সরকার,দু দলেরই স্বৈরাচারি এরশাদের সমর্থন
ছিল প্রচণ্ড দরকার,
জেলের ভিতরে গিয়ে দু দলেরই দূত,খেতে এরশাদের মুত,লাগাইয়া দিল হাহাকার।
ধূর্ত এরশাদ করিল চুক্তি,প্রথমেই দিতে হবে কারামুক্তি,তার পর তুলে নিতে হবে মামলা সকল,
পুরোনো ইতিহাস ভুলে,এরশাদেরে নিল কোলে তুলে,খালেদার উপরে গেলো প্রচণ্ড ধকল।
বাইশ বছর প্রতীক্ষার পরে,আওয়ামী লীগ বসিল মসনদ 'পরে,
আবার পাইল ক্ষমতার স্বাদ,
চিরাচরিত বাকশালী ভাব,সাথে স্বৈরাচারী স্বভাব,মগের মূলুক
বানালো দেশ,করলো সব বরবাদ।
গোলন্দাজ,হাসানাত,শামিম ওসমান ও হাজারী,অত্যাচারের
রোলার চালিয়ে তুলিল দেশে আহাজারি,
পরবর্তি নির্বাচনের না দিতে ফলাফল, ভারতে পালালো তারা সকল, ছাড়িয়া আপন আপন বাড়ি।
১লা অক্টোবর,২০০১ সন,হইল ৮ ম সংসদ নির্বাচন,বি এন পি পেলো ১৯৩ সিট আর আওয়ামী ৬২ সিট,
খালেদা তৃতীয় বার,গ্রহণ করিল শাসনভার,নেপথ্যে থাকিয়া,
পুত্র তারেক জিয়া,টাকা খেয়ে দিল পারমিট।
হাওয়া ভবন, থাম্বা ঘর,মামুন,ফালু আরো কিছু মির জাফর,
বানাতে লাগিল টাকার পাহাড়,
সংখ্যা লঘু নির্যাতন,র্যবের প্রবর্তন,বিরোধী দমন,চলিল
অবাধে,জনগণ পেলোনা আহার।
অলস,অথর্ব ইয়াজুদ্দিন,নিজেই তত্ত্বাবধায়ক প্রধান হিসাবে হলেন আসীন, খালেদারে জিতাতে নিলেন ভূমিকা,
জেনারেল ময়নুদ্দিন,নিয়ে ফখরুদ্দিন উদ্দিন, চাইলেন খালেদা হাসিনারে চিরতরে সরাতে ক্ষমতা থিকা।
দুদলেরই কিছু নেতা,চাহিলেন করিতে দলীয় সংস্কার,
দু নেত্রীরেই চির তরে করিতে বহিষ্কার,
কারণ দুই নেত্রীই দুর্ণীতি পটিয়সী,একাই দলের নীতি নির্ধারক,
স্বীয় পুত্রকে ক্ষমতায় আনতে করেন সূত্র আবিষ্কার।
২ বছর পর, ২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বর,হল নবম সংসদ নির্বাচন, বি এন পি পেলে ৩৩ টি আসন,
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ জোট পেয়ে ২৬৩ আসন,নিজ হাতে তুলে নিল সমগ্র দেশের শাসন।
তার পরের ইতিহাস সবার জানা,ক্ষমতারে চির তরে করিতে কুক্ষিগত, বদল করিল সুর, আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা করিল দূর,
প্রবাসী পুত্রের কথামত,করিল না মোটেও মাথানত,না করিল আন্দোলন,না করিল নির্বাচন,পেট্রোল বোমার পোড়া গন্ধে দেশ হলো ভরপুর।
২০১৪ সালর ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ ভোটার বিহীন নির্বাচনে,১৫৪ জন হল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত,
ক্ষমতা দখল রাখার তরে,লজ্জা শরম সব বিদায় করে,
বঙ্গ বন্ধুর চিরচরিত আদর্শরে চির তরে করলো নির্বাসিত।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে,থাকতে হলে ক্ষমতার আসনে,
হেফাজতের সক্রিয় সমর্থন চাই,
ধর্মান্ধ হেফাজত,প্রকাশ করিবে মতামত,কোরাআন ও হাদিস মতে নারী নেতৃত্বের স্থান নাই।
রচনা কাল:-
ঢাকা ২৬/০৬/১৭
রাত২-১৫