-: রুবাইয়াত ই ওমর খৈয়ামের অনুবাদের তুলনামূলক বিশ্লেষণ- ১৭:-
Rubaiat of Omar Khayyam
Edward Fitzgerld
এর অনুবাদ।
(১৭)
They say the Lion and the Lizard keep,
The courts where Jamshyd gloried and drank deep.
And Bahram,the great Hunter- the wild Ass
Stamps o'er his Head,and he lies fast asleep.
কান্তি চন্দ্র ঘোষের অনুবাদ -(১৭)
জামশিয়েদের সুরায় পিছল খাস-দেওয়ানের খিলান মাঝ,
বাসা বেঁধেছে আজকে সেথায় টিকটিকি আর সিংহরাজ।
রাজার সেরা রাজ -শিকারি বাহরাম কোথায় ঘুমিয়ে রয়;-
আজকে তো তার মাথার 'পরে চাট মেরে যায় বন্য-হয়।
★হয় অর্থ ঘোড়া।
নরেন্দ্র দেবের অনুবাদ -(১৭)
জামশেদের জাকের প্রাসাদ,মজলিশু-পান,আমোদ -আসাদ,
অফুরন্ত চলতো যেথা,বলছে লোকে এখন সেথা,পশুরাজের বসছে আসর,টিকটিকিরা জাগছপ বাসর।
বাহরাম যে ভীম শিকারি, দুঃসাহসী জেয়ান ভারি,সেও বেঁধেছে
আজকে খাসা,মাটির তলে শীতল বাসা,বনের গাধা মাড়িয়ে যায়,নাইকো তবু খেয়াল তায়।
কাজী নজরুল ইসলামের অনুবাদ-(৯৫)
এই যে প্রমোদ- ভবন যথায় জলসা ছিল বাহরামের,
হরিন সেথায় বিহার করে,আরাম করে ঘুমায় শের।
চির জীবন করলো শিকার রাজশিকারী যে বাহরাম;
মৃত্যু- শিকারীর হাতে সে শিকার হ'ল হায় আখের।
সিকান্দর আবু জাফরের অনুবাদ নম্বর-১৭
শাহী দরবারে একদা যেখানে সম্রাট জামশীদ
দ্রাক্ষা- নেশায় দ্বিধা- ভীরুতাকে করছে না- উম্মীদ,
সেখানে এখন প্রতি প্রত্যুষে প্রতিটি সন্ধ্যাবেলা
সরীসৃপ আর সিংহেরা ভাঙে কবরখানার নিদ।
একদা যে ছিল শ্রেষ্ঠ শিকারী দুর্জয় বাহরাম
কবরের ঘুমে ঢাকা পড়ে গেছে যত কিছু তার নাম।
পদাঘাত করে রাসভেরা তার কবরে অবহেলায়
তবু তার চোখে নিস্তরঙ্গ নিদ্রার বিশ্রাম।।
অধমের অনুবাদ-(১৭)
জামশেদেরই জাঁকের প্রাসাদ জমতো যেথা সুরার আসর,
সিংহরাজার টিকটিকি আজ গড়ছে সেথা তাদের বাসর।
ভীম শিকারী বাহরাম আজ শুয়ে আছে মাটির তলে;
বন্য গাধায় মাড়িয়ে যায় অবহেলায় তার সে কবর।
Jahangir Kabir এর অনুবাদ -(১৭)
বনের রাজা সিংহ আর টিকটিকিতে করছে বাস,
যেমন রাজা জামশেদের শূন্য প্রাসাদ শূন্য গ্লাস।
বন্য গাধার পায়ের তলে ভীম শিকারীর শিরটি হলে ;
চূর্ণ হলো দম্ভ তাহার বলবে কে আর বাহরাম ত্রাস।
মোহাম্মদ ডেভিড কৃৃষ্ণ বড়ুয়ার অনুবাদ-(১৭)
প্রাসাদটা আজ জীর্ণ দেখি,সুরার আসর জমতো সদা,
আজ বনভোজন হরিণ করে,ধূলি উড়ায় বন্য গাধা।
বাহরাম যাদের করতো শিকার,গর্ব ভরে সৈন্য সাথ;
তাদের কবর মাড়ায় পশু,নাই সেথায় কোন বাঁধা।
মোঃ আনোয়ারুল ইসলামের অনুবাদ-(১৭)
জামশেদ এর প্রমোদ ঘর, যেথায় বইত সুরার নহর,
টিকটিকি ও সিংহ সেথায়, বাঁধছে দেখ সুখের বাসর।
বিশ্বসেরা শিকারি বাহরাম,মাটির তলেই পেল আরাম;
ঋদ্ধ অতীত মিথ্যে প্রতীত, ঠিকানা সবার একই, কবর।
নাঈম মাহমুদ মিথেল এর অনুবাদ-(১৭)
জামশিয়েদের সুরায় প্রমোদ ভরা,জলসা ছিল বাহারামের। বাহারাম ছিল ভীম শিকারি,এখন আর মর্যাদা নেই ও নামের। মৃত্যুর পরে সবই ধাঁধা,ভীম শিকারির কবর মাড়ায় বন্য গাধা। মৃত্যু তোমায় নেবেই টেনে,যতই হও শক্তিশালী বন্য শের।
Abulkalam Azad এর অনুবাদ-(১৭)
জামশিদের যে প্রাসাদ ছিল সুরায়-সুরে জাঁকজমক,
আজ সেখানে চারণভূমি, --বিশ্বে এমন লাখ চমক !
কত বীরের গোরের উপর বন্য গাধা, মেষ চরে;
শেষ ঠিকানার বাহরামের সাধ্য তো নাই দেয় ধমক !
এ্যাঞ্জেল আইচের অনুবাদ নম্বর-১৭
সুরাপাত্র মরিচায় ধরা,প্রাসাদটাও জীর্ণ আজ,
মেলা সেথায় পশু জাতির,গাধারা সব করছে রাজ।
গর্ব খর্ব বাদশা বাহরামের,জং ধরা তাঁর ধনুক তির;
শোধ নিতে পশুর দলে,পদ দ্বারা ফেলছে বাজ।
০৯/০৪/১৯
নুর নবী হিরার অনুবাদ নম্বর-১৭
বাহারামের রঙমহলে আমোদ প্রমোদ যত,
সুরা পান আর হরিণ শিকার চলতো শত শত।
রাজশিকারী করলো শিকার সারা জীবন ভর;
তারে আজরাঈলে শিকার করে করলো অবনত।
০৯/০৪/১৯
শামসুদ্দীন আহামদের অনুবাদ নম্বর -১৭
সেই জামশেদ আজ আর নেই,নেই সে বিলাসখানা,
ভিতরে ফাটলে গেড়েছে সদলে পশু কীটে আস্তানা।
শিকারির সেরা খ্যাত বাহরাম ঘুমায়ে আছেন গোরে;
শিহরে তাঁহার বুনো গাধা এসে নির্ভয়ে ঘুরে ফেরে।
রচনাকাল:-
ঢাকা০৯/০৮/১৮
বেলা৯-১৫