রুবাইয়াত ই ওমর খৈয়ামের অনুবাদের তুলনামূলক বিশ্লেষণ-৬০
Rubaiat of Omar Khayyam Edward Fitzgerald ( 1859)এর অনুবাদ-(৬০)
And, strange to tell,among the Earthen Lot,
Some could articulate,while others not.
And suddenly one more impatient cried;
Who is the potter,pray,and who is the pot?
সত্যেন্দ্র নাথ দত্তের( 1908) ১৩টি অনুবাদে এটা নেই।
কান্তি চন্দ্র ঘোষ(1919)এর অনুবাদ নম্বর-৬০
শুনলে বঁধু অবাক হবে,সেই সাজানো মাটীর তাল,
তার মাঝে কেউ চুপটী শোনে,কেউবা বোনে কথার জাল।
বললে কে এক হঠাৎ রোষে,ব্যস্তবাগীশ কণ্ঠ তার-
কেইবা এসব কুম্ভ মোরা,কেইবা সে জন কুম্ভকার?
নরেন্দ্র দেব(1926)এর অনুবাদ নম্বর-২৮৩
অবাক কাণ্ড! সেই কুমোরের পুতুল কাটার সারে,
অনেকে বেশ কইছে কথা! হয়তো সবাই নারে।
হঠাৎ শুনি অধীর হয়ে জানতে চাইছে কে;
" কুম্ভ কেবা,কেইবা কুমোর, বলতে পারো হে?"
কাজী নজরুল ইসলাম( 1933) এর অনুবাদ নম্বর-১১২
একি আজব করছো সৃষ্টি,কুম্ভকার হে হাত থামাও,
চূর্ণ নরের মাটি নিয়ে করছ কি তা দেখতে পাও?
কায়খসরুর হৃদয় এবং ফরিদুনের অঙ্গুলি;
বে- পরওয়া হয়ে তোমার নিঠুর চাকায় মিশেয়ে যাও।
ডঃ মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ(1942)এর অনুবাদ নম্বর- ৬৫( R.187)
গিয়েছিলাম কালকে আমি কুমোরের এক দোকান ঘর,
দেখলাম সেথা হাজার কুঁজো,কেউ আছে চুপ,কেউ মুখর। তাদের মাঝে একটা কুঁজো চঁচিয়ে বল্লে অকস্নাৎ;
" কেবা বেচে, কেবা কেনে,বানায় সে কোন কারিগর?
সিকান্দর আবুজাফর (1966) এর অনুবাদ নম্বর-৬০
বিস্ময়ে দেখি সরব -কণ্ঠ কুম্ভ কয়েক সার,
বাকি সবগুলি অনড়-পিণ্ড নীরব নির্বিকার।
সহসা তাদের কোনো একজন প্রশ্ন করিল রোষে;
দয়া করে বলো কারা বা কুম্ভ কে বা সে কুম্ভকার।
শক্তি চট্টোপাধ্যায় (1971)এর বইয়ের ১২৫টি অনুবাদের মধ্যে
অনুবাদ নম্বর-১১০
এবং, যাহা বিস্ময়কর,পাত্রগুলির মধ্যে বা কেউ,
চেতন বা কেউ হতচেতন- উঠলো মাটির সমুদ্রে ঢেউ।
কেউ যেনো বা বললো হঠাৎ অসহিষ্ণু কণ্ঠে,
" ওরে বুঝিয়ে দে আজ কোনটা কুমোর কোন প্রকৃত পাত্রটি, কেউ।"
শামসুল আলম সাঈদ(2011)অনুবাদ ২০৯ টির মধ্যে মিল পেলাম না।
অধ্যাপক আলমগীর জলিল(2013)এর অনুবাদের সাথে মিললো না।
পৃথ্বীরাজ সেন (2015)এর অনুবাদ নম্বর-২৮৩
অবাক কাণ্ড সেই কুমোরের পুতুল কাটার সারে,
অনেক কথা বলছে তারা পরস্পরে পরস্পরে।
একে অন্যেরে অধীর হয়ে জানতে চাইছে;
কুম্ভ কে? কেইবা কুমোর বলতে পারো হে।
মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর (২০১৭) অনুবাদ নম্বর-৬০
বলতে অবাক লাগে,কুম্ভকারের সাজিয়ে রাখা মাটির পুতুলগুলি,
কয়েকটা তার নীরব থাকে,কয়েকটা সরব,ছাড়ে মধুর বুলি।
হঠাৎ একটা কেঁদে দিয়ে জোরে জানতে চায়;
কুমোর কেবা,পুতুল কেবা, সবাই মাটির ধূলি।
শামসুদ্দীন আহমদের(২০১৭) অনুবাদ- ৬০
থরে থরে রাখা পাত্র কেউ ছিল সুন্দর,
আবার কাহারো দেহখানা ছিল কুৎসিত কদাকার।
রাগে উন্মাদ চীৎকার করে বলল থেবড়ো জনা;
" কেই বা কুমোর কেইবা পাত্র আমাদের নেই জানা।"
আবুল কালাম আজাদ-এর ভাবানুবাদ (২০১৯) -৬০
কুমোরপট্টির এক দোকানে একদিন আমি হই অবাক,
কেমনে যে এক মাটির পুতুল হঠাৎ দেখি হয় সবাক !
বলছে সে,কী ভাবছো অত,তুমিও হবে আমার মত ;
পাত্র কে আর কুমোর কে, বকছো কেন বাকুমবাক !
নাঈম মাহমুদ মিথেল(২০১৯)এর অনুবাদ নং -৬০
কাদা দিয়ে পুতুল গড়লো হাসি মুখে কুম্ভকার,
সেই কাদাতে কত মনুষ মিশে হলো নিরাকার।
পুতুল নাচের ময়দানেতে একটি পুতুল চেঁচিয়ে বলে;
একদিন তুইও পুতুল হবি হাসিস না আর রুবাঈকার।
এ্যাঞ্জেল আইচের(২০১৯)অনুবাদ-৬০
রংবাহারি পুতুলগুলি সাজানো নানান কারুকাজে,
কিছু করে চলাফেরা কিছু মরে নিজ কর্মের লাজে।
হঠাৎ কেউ প্রকাশ করে জানায় চিৎকারে আগ্রহ;
কে সেই কুমোর কে সেই পুতুল এসে শেষের সাঁঝে।
মোহাম্মদ ডেভিড কৃষ্ণ বড়ুয়ার(২০১৯)অনুবাদ-৬­০
যেই গিয়েছি বাজারমাঝে,এক কুম্ভকারের দোকানে,
আমি অবাক মানুষ অবাক,তাঁরই করুণ কাণ্ডজ্ঞানে।
হঠাৎ হয়ে এক পুতুল সবাক,চেঁচিয়ে বলে শোন সবাই; আজকে আমিযেই রূপে,একদিন তুমিও হবে নিদানে।
সংকলনকাল :-
রাত১০-৪০
★ যাঁহারা আমার সাথে আগের ৫৯ টি অনুবাদে যুক্ত ছিলেন শুধু তাঁহারাই আমন্ত্রিত। ওমর খৈয়ামের কুজা- নামার অনবাদগুলি প্রায় একই রকম।পার্থক্য করা প্রায় অসম্ভব।