রুবাইয়াত ই ওমর খৈয়ামের অনুবাদের তুলনামূলক বিশ্লেষণ-৫৩
Rubaiat of Omar Khayyam Edward Fitzgerald ( 1859)এর অনুবাদ।(৫৩)
With Earth's first clay They did the Last Man's Knead,
And then the Last Harvest sow'd the Seed.
Yea,the First Morning of Creation wrote
What the Last Dawn of Reckoning shall read.
সত্যেন্দ্র নাথ দত্তের( 1908) অনুবাদ নম্বর- ৯
প্রথম মাটিতেনগড়া হয়ে গেছে শেষ মানুষের কায়,
শেষ নবান্ন হবে যে ধান্যে তারো বীজ আছে তায়।
সৃষ্টির সেই আদিম প্রভাত লিখে রেখে গেছে তাই;
বিচার-কর্ত্রী প্রলয় রাত্রি পাঠ যা করিবে ভাই।
কান্তি চন্দ্র ঘোষ(1919)এর অনুবাদ নম্বর-৫৩।
মৃত্তিকাতে তৈরী যেদিন মূর্ত্ত মানব পৃথ্বীতল,
সেি মাটীতেই বীজটি বপন ভবিষ্যে যা ধরবে ফল।
সেই সৃজনের প্রথম ঊষার ভাগ্যলিপির অঙ্কপাত;
ফুটবে পুনঃ শেষ বিচারের প্রলয় ঊষার জন্মসাথ।
নরেন্দ্র দেব(1926)এর অনুবাদ নম্বর-২২৮
মেদিনীর মৃত্তিকার যে আদিম প্রারম্ভের স্তুপ,
গড়িয়াছে মানবের অন্তিমের পরিণত রূপ।
তারই বুকে লুকাইয়া আছে আমি জানি,
সর্বশেষ ফসলেরও বীজগুলি রানী!
সৃষ্টির প্রথম ঊষা শেষ কথা লিখে গেছে জগতের ভালে;
প্রলয় প্রভাত আসি পড়িবে যা অসংশয়ে সংহারের কালে।
কাজী নজরুল ইসলাম( 1933) এর ১৯৭টা অনুবাদের সাথে মিল পেলাম না।
ডঃ মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ(1942)এর বই পাইনি।
সিকান্দর আবুজাফর (1966)এর অনুবাদ নম্বর-৫৩
এই পৃথিবীর মৃত্তিকাছানা প্রথম কাদার ছাঁচে,
সর্বশেষের মানুষটিও যে নির্ণীত এক ধাঁচে।
পাঠ করা হবে যে ললাটলিপি মহা বিচারের প্রাতে;
নব সৃষ্টির প্রথম প্রভাতে তা ও তো লিখিত আছে।
শক্তি চট্টোপাধ্যায় (1971)এর বইয়ের ৬৩ পাতায়:-
সৃষ্টিকালের আদিম মাটি গড়লো শেষের মানুষটিকে,
শেষ নবান্ন হাত তুলে দেয় জন্মদিনের বীজের দিকে।
উৎ-সৃজনের সেই প্রভাতে শেষ ঊষাটির হবেই বা কী;
শিখলো তারা,আমরা দেখি অতীত লেখন- ভাগ্যলিপি।
শামসুল আলম সাঈদ(2011)অনুবাদ পেলাম না।
অধ্যাপক আলমগীর জলিল(2013)এর অনুবাদ পেলাম না।
পৃথ্বীরাজ সেন (2015)এর অনুবাদ নম্বর-২২৮ ( নরেন্দ্র দেবের অনুবাদটা হুবহু তুলে ধরেছেন।)
মোহাম্মদ আলী চৌধুরী (2017)এর অনুবাদ নম্বর-৫৩
পৃথিবীর প্রথম কাদায় গড়া হয়েছে শেষ মানুষটিরও কায়া,
সেই মাটিতেই বুনেছিল বীজ,পেতে বৃক্ষের ছায়া।
সৃষ্টির প্রথম প্রভাতেই লেখা হয়ে গেছে সব মানুষের ভাগ্য লিপি;
প্রলয়ের দিনে তাই পড়া হবে,কোনো বিকল্প নেই,ভায়া।
শামসুদ্দীন আহমদের অনুবাদ নম্বর-৫৩
যে মাটি ছান্দি আদম সৃষ্টি সেমাটিতে যাবে মিশে,
শেষ ফসলের বীজ বোনা আছে সে ঐ মাটিরই নিচে।
সৃজন লগন ঊষায় লিখিত হয় যে বাণী;
প্রলয় প্রভাত তিমির পলকে সে লেখা পড়বে রানী।
মোহাম্মদ ডেভিড কৃষ্ণ বড়ুয়ার অনুবাদ- ৫৩
যে ধাঁচে মোরে গড়লো,সে ছাঁচেই প্রথম ও শেষ জন,
এক প্রভাতে বিচার হবে,করবে ভাগ্যলেখক নিরঞ্জন।
বল কেন করি ছুটাছুটি বেদিক হয়ে দিগ্বিদিক;
শোন ভাই সেই খেলোয়াড়,যার গড়া এই ভুবন।
এ্যাঞ্জেল আইচের অনুবাদ- ৫৩
আগত আর অনাগত একটা ছাঁচে তৈরী সব,
বিচার দিনে সবাই সমান,পরিচয় নিথর শব।
আদিমতার কালি দিয়ে আদমের ভাগ্য লিখেছে সে;
এক কাতারে দাঁড়াবে সবাই,তবে কেন মিছে কলরব!
সংকলনকাল :-
ঢাকা ২০/০৫/১৯
রাত ৩-৫৫
★যারা আমার সাথে ১ হতে ৫২ টি অনুবাদ এতদিন করে এসেছেন তাঁরাই শুধু অনুবাদে আমন্ত্রিত।