কুহু নহে বিকট বংশীধ্বনী,
ডাকিছে ট্রেন আমায় আগরতলাগামী।
আধ-ভাঙা ঘুমে স্নানটি সেরে,
বেরিয়েছি রাজ পথে-
কেউ যেন দিয়েছে আমাকেই তেড়ে!
বৈদ্যুতিক রিক্সায় চেপে স্টেশনে আসা,
টিকিট দুটি কেটেছিল আমার ভালবাসা।
দূরেতে হাতছানি ডাকিল মোরে,
দ্রুত বেগে চলে যাই ট্রেনে চড়িবারে।
বধূ মোর বড়ো ভালো-ব‍্যাগ টেনে নিল,
স্বস্থির নিঃশ্বাস এবার ট্রেন ছেড়ে দিল।
গরম চা হাতে আর ফেসবুকের পাতা,
খুলে মোরা দেখে আজ কার কি কথা।
ভারতের প্রতিচ্ছবি ট্রেনেতে দেখি,
ভোগীদের মাঝে মাঝে জনা দুয়েক রোগী।
টানেলের মাঝে এলো হিজড়া ডাকাত,
টাকা না দিলে হবে সন্মানের কাত।
ভিক্ষারী এলো এক দশ টাকা নিল,
হিজড়া লোকটি তার অর্ধেক পেল।
সুন্দর মেয়ে এক চশমা পড়া চোখ,
হিজড়ার বাক‍্যবানে কাঁপে তার বুক।
পাঞ্জাবী বিহারী চাকমা বাঙালি,
কারো ভদ্র কথাতে কারো হয় গালি।
অভিজ্ঞতায় ভরে যায় কতো শূন্য থলি-
বৈচিত্র্যের এই দেশ ভারত যারে বলি।


***********
তাং: ‌২৮/০৮/২০১৮ ইং
১১ভাদ্র,১৪২৫ বাংলা
সকাল:৯.২৬
নিজ বাসভবন,ধ‍র্মনগর
উত্তর ত্রিপুরা, ভারত