প্রজাপতি উড়ে ফিরে রূপসী বাংলার বুকে,
রঙে রঙে হোলি খেলা ফাগুনের আনন্দমেলা।
বাঁশী কাঁদায় কে যেন তাতে অভিমান ভরে-
তাকাই আমি  দূর-বহু দূরের নীল নীলিমার পাড়ে।
কত আসে কত বা  ফিরে যায়; তার হিসেব  কি রাখে কেহ ?
ঐ পশ্চিম আকাশে লাজুক তপন লুকোতে ছুটে ঊনোকোটী আঁচল ধরে।
ক্রমে আসে ঘন কলো, কিচিরমিচির করা পাখিগুলো-ওদেরও সংসার বুঝি আছে।
বকেরা উড়ে দূর আশ্রয়ের খোঁজে এপার ছেড়ে ওপারের ঝোপেঝাড়ে।
বি.এস্.এফ্ আর বি.ডি.আর অতন্দ্র প্রহরী তাঁরা!
কাঁটাতার  কাঁদে মাঝে মরিচা  পড়েছে যে তার গায়ে।
এক‌টি হৃদয় দুটো অলিন্দ-বাংলার কবি বাংলার ছবি।
তুমি বাঙালি আমিও বাঙালি-
তুমি বাউল হয়তোবা আমি বৈষ্ণব ।


এদেশে-সন্ধ্যামালতীদের জেগে ওঠা
নূপুরের রিনিঝিনি-ঘর ভর্তি করা সুগন্ধি ধূপের ধোঁয়া।
ষড়ঋতুতে ট‌ইটুম্বুর আমার মাতৃভূমি,
তাঁর সীমানা  যে ঠিক কতখানি-আমি আজও বুঝিনা।
দেখেছি আমি বসন্ত এসেছে এই স্বর্গ ধামে-
পাতা ঝরা গাছ গুলো আবারও সেজেছে সবুজের সাজে।
ঝর্ণার কলকল ধ্বনি কোকিলদের কুহুকুহু-রব,
কি আশ্চর্য সুন্দর  এ পৃথিবী-সুমধুর ভালোবাসা।
কেহ যদি চায় এই সুগন্ধি বাতাসে বারুদের গন্ধ মেশায়-
আমি কি পারি না বলতে-
ক্ষান্ত হ‌ও ! হে মানুষ তুমি ক্ষান্ত হও!একবার ভেবে দেখো-
এ পৃথিবী আমার মা; তোমার‌ও মা!
-আর প্রকৃতি আমার মায়ের কোল -শর্ত বিহীন ভালোবাসা!
               ***********