গোলাকার লাল-
প্রখর সূর্যটা ডুবে গেল অবশেষে রইল শুধু কালো পাহাড়ের ছায়া।
আমি যত হেঁটে যাই, রাস্তাটুকু ফুরায়না।
নিজেকে নাম ধরে ডাকার চেষ্টা করি,
মনে হয় যেন নামখানা টুকরো টুকরো হয়ে গেছে।
আমি চেষ্টা করি উচ্চ থেকে উচ্চতর আরোহণের,
ক্রমে আমি নিজের নামখানা পুরোপুরি ভুলে যায়।
পশ্চিমী হাওয়ায় টাইফুনের গতিপথ পরিবর্তনের মতো,
গোটা বিশ্ব নিমজ্জিত বিভ্রান্তিতে ।
অবশ্য কেউ কেউ  একের পর এক নতুন নাম দিতে পারে,
কিন্তু আমি যে এ মুহূর্তে প্রত্যেকের নাম হারিয়ে ফেলেছি!
যাকে আমি "প্রকৃতি" বলি –
তার মাঝখানেই দাঁড়িয়ে আছি ।
আমি একা
আমার প্রকৃতিক আজ
পাতলা কাফনে আবৃত।
বিক্ষিপ্ত কণ্ঠ স্বর,
নামটি আমার হারিয়ে গেছে
যখন আরও একবার "প্রকৃতি" নামে ডাকি
নির্জন-সর্বকালের প্রাকৃতিক দৃশ্যের দিকে তাকিয়ে,
আবারো দমকা হাওয়া শুরু হলো।
যারা এখনও তাদের নাম হারাচ্ছে,
এবং যারা ইতিমধ্যে তাদের নাম হারিয়েছে,
তারা সবাই জড়িয়ে আছে - আসল নামের চারপাশে।
যাদের ডানা আছে তারা উরুক,
তবে আমি বার বার চিৎকার করে বলি,
“ আমি ভঙ্গুর!"
যদিও কেউ  আমার কথা শোনে না-
হাজারো তরঙ্গ বলে দেবে  আমার নতুন নতুন যন্ত্রণার  কথা।
সমুদ্র সৈকতের সহস্র লহরী  যন্ত্রণার শ্রুতি মধুর নাম,
হাজার হাজার স্বরগুলি  ছড়িয়ে পরছে
পৃথিবীর বক্ষ পাঁজরে।
*********