"যৌবন-বেদনা-রাঙা তোমার কবিতাখানি
            পড়িতেছি অনুরাগ-ভরে।"-


আজ পড়ি আমি   তোমারই কবিতা
জন্ম নিয়েছিলে সেই ২৪ মে ১৮৯৯ খৃস্টাব্দের শুভক্ষণে।
দেশপ্রেমিক, বিদ্রোহী কবি, সম্পাদক,গীতিকার-
সুরকার , সুগায়ক নজরুল নাম ছিল তোমার।
তোমার ‘যুগ বাণী’, ‘বিষের বাঁশী’, ‘ভাঙার গান’,
‘প্রলয় শিখা’, ‘চন্দ্রবিন্দু’-
কাব্যগ্রন্থ গুলো বাজেয়াপ্ত করেছিল
ভীরু বৃটিশের দল বিতাড়িত হবার ভয়ে।
‘আনন্দময়ীর আগমনে’ কবিতাতে
একটি বছর সশ্রম কারাদণ্ড হলো;
ক্ষান্ত হওনি তখনো  তুমি  সেইবার-
আবার দন্ডিত হলে সশ্রমে ছয়টি মাস-
অপরাধ!অপরাধ যদি বলি ‘ প্রলয় শিখা’
কাব্যগ্রন্থখানা  ছিল নাকি আগুনের জলন্ত  বিশাল আগ্নেয়গিরি।


তুমি শুধু বিদ্রোহী নও কবি-  
প্রেম আর ভালোবাসার কবিও বটে।
অ-কেজোর গানে ছবি এঁকেছ-
"ঐ বাবলা ফুলের নাকছবি তার।"
হে কবি তোমার কলমেও
কাঁদে প্রিয়া বিরহ বিলাপে-
“ওগো কবি ওগো বন্ধু ওগো মোর গুণী--”
                                    স্বপ্ন যায় থামি'।
কালজয়ী তোমার ত্যাগের কথা
ভুলবে এই বিশ্বে কেবা-
"সবারে                   বিলিয়ে সুধা,
সে নিল                  মৃত্যু-ক্ষুধা।''


হে বিদ্রোহী কবি!
তুমি জাগ্রত  আজও  অন্যায়ের  প্রতিবাদে -
তুমি জাগ্রত আজও উদ্যোগীর প্রেরণাতে,
তুমি জাগ্রত আজও যৌবনের উদ্যমে।


তাই  আমি আজ তোমার কথাই তোমারে কই-
"তোর নামে রহিল রে মোর স্মৃতিটুক,
তোর মাঝে রহিলাম আমি জাগরুক।''