এক যে ছিল বিশাল অশ্বত্থ গাছ,
হুরুয়া গ্ৰামে আমার বাড়ির পাশ।
তাতে ছিল হাজার পাখির বাসা;
নানা জাতের মৌমাছিতে খাসা।
হাজার টিয়া,বনো পায়রা, ধনেশ;
দেখতে দেখতে দিন যে হয় শেষ।
শকুন,শালিক আর চিলের বাসা,
গাছের শাখায় শাখায় ঠাসা, ঠাসা।
পরতো ঝরে বটের লাখ লাখ গুটি,
মনে হত বৃষ্টির জলে ভেজায় মাটি।
কেউ না যেত ভূতের ভয়ে তলায়,
ভয়ে ভয়ে গেলাম বিকাল বেলায়।
কত শত কোঠর ছিল গাছের দেহে,
ঐ কোঠরে বাসা বাধে জোরা শালিকে।
নেশা ছিল পোষব শালিক শৈশবেতে,
জড়িয়ে ছিল ডালে ডালে চিনিচম্পাতে।
চিনিচম্পা একটি ফুল অতি সুগন্ধ তার,
গেঁথেছিলাম একটি মালা চিনিচম্পার।
উঠেছিলাম বটের গাছে আনন্দ ভরে,
ভয়ে ভয়ে হাত দিয়েছি শালিকের ঘরে!