স্বাধীনতা খুঁজতে গিয়ে,
‌একটা পাখি দেখেছি।
অপলক চোখে তাঁকাই তারে...
মন ছুঁই-ছুঁই করছিল সে পাখি।
ম্রিয়মাণ সূর্যালোক গোধূলি বেলা,
স্বাধীনতা যেন ডাকে কিচিরমিচির স্বরে-
বাঁশের ঝাড়ে বটের তলায়,
আমাদের স্বাধীনতা লুকাতে চায়।
দূরের দৃষ্টিতে নীল আকাশ,
তবুও খানিকটা লাল।
সাদা বকের ঝাঁক দক্ষিণের আকাশে,
বাতাসে ভাসে মৃদু গন্ধ-
মনে হয় সবটুকুই যেন আনন্দ।


হঠাৎ যেন-
রক্তিম পতাকা গুলো আর দেখি না,
তবে কি ঘোষণা হলো নতুন স্বাধীনতা?
সোনালী ধানের মাঠ ঝাপসা হলো,
ফড়িং-এরা নীরব এখন।
একখানা লাঙল পড়ে আছে মাঠে,
রাখালের বাঁশি শুনিনা দূর বনে-
পল্লী বধূ গোমটা টানেনা সযতনে।
তিমিদের আনাগোনা-
জল ছেড়ে মনে ।


তোমাকে খুঁজি আজো স্বাধীনতা-
মুক্ত বিহঙ্গের ডানায়।
গুলি বর্ষণে রক্তাক্ত ময়দান,
অনাহার ক্লিষ্ট শিশুর ক্ষুধায় হাহাকার।
নৌকায় দেখেছে ফুঁটো পদ্মার মাঝি,
যমুনারে বলে তাই-'বড়ো ভালোবাসি'।


***********
তাং: ‌০৩/০৮/২০১৮ ইং
১৭ শ্রাবণ,১৪২৫ বাংলা
রাত: ১১.১২
নিজ বাসভবন,ধ‍র্মনগর
উত্তর ত্রিপুরা, ভারত