যন্ত্রণার কশাঘাতে ক্ষত-বিক্ষত আমার জীবন
সীমাহীন নৈরাশ্য আর একাকিত্বের চরম হতাশায়,
সাইমুম ঝড়ে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া
মাধবীলতার মতোই নেতিয়ে পড়েছি বিষণ্ণতায় ।


গোধূলি নীলিমা যখন অন্ধকারে রূপান্তরিত
আসমানের কালো পর্দায় অসংখ্য সেতারার মতি,
রাতের আকাশে চলছে ব্যাপক আয়োজন
আমি পথহারা পথিকের বেড়েছে চলার গতি ।


থমকে গিয়েছিলাম দেখে এক ভুবনমোহিনী
চাঁদের রোশনি এসে পড়েছে  তার মুখে,
মনে হচ্ছে যেনো আসমানের চাঁদ
উঁকি মেরেছে যমিনের চাঁদকে দেখে   ।


পুছিলো যুবতী, কোথায় যাও ওহে পথিক ?
চেহরায় তোমার বিষণ্ণতা আছে ছেয়ে,
কহিলাম তারে দুখের কালো আঁধারে
মোর ভাগ্যাকাশ আছে ছেয়ে  ।
মৃত্যুকে আলিঙ্গন করার জন্যই
অজানা গন্তব্যে আমি,ছুটেছি ধেয়ে ।


মেয়েটি সুবাসিত ফুলের মতো মোহিনী !
হরিণীর মতোই চোখদুটি কালো,
হাতদুটি নয়,  যেনো মাখনের টুকরো
উষ্ণ ঠোঁটের সহস্র প্রতীক ললাটে এঁকে দিলো ।


অকূল সাগরের দিকহারা নাবিক কোনো শুভ প্রভাতে
যখন দিগন্তরেখায় দেখতে পায়
কোনো সবুজ বন্দরের সবুজ নিশান,
তেমনি হৃদয়ে আনন্দের ঢেউ বয়ে যায়  ।


বিধাতা এ ধরাতে সৃজিলেন যত সৃষ্ট
নারীজাতির রহস্যময়ী মন বোঝা বড়ই কষ্ট,
এরাও পুরুষজাতির মতো মোরা জানি
খোদা জানে নারী  কোন আজবপ্রাণী !