(এই যে মনে হাওয়া, এর উৎকর্ষতায় ভর করেই
শিক্ষাসফরে আজ উড়ে যাই সম্বিৎ উধাও)


ভীষণ মেঘ ছিলো সেদিন,
ভীষণ বৃষ্টিও
ঝর্ণা আর বৃষ্টির মিলনে নিজেকে শামিল করার আগেই
নিজেকে আবিষ্কার করি অন্য কারো চোখে
সমস্ত সৌন্দর্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে
তার সৌন্দর্যেই ঘুরেফিরে ঘুমুতে যাই
ক্লান্ত দেহ তবু_
ঘুমুতে গিয়ে কেন জানি মনে হয়
কি যেন বাকি!


যে সব মেঘ গভীর রাতের দিকে যেতে যেতে ঝরে পড়েছে বনে
তাদের শোক,
যে সব বন পাখির উল্লাসে উড়তে গিয়ে ছারখার হয়েছে কুঠারে কুঠারে
তাদের কান্না,
যে সব পাখি ভুল করে বসন্তের গান গেয়েছে বর্ষার বিকেলে
তাদের সর্বনাশ
সব ঐ নতুন আগতার চোখে।


জাফলংএ কালো চোখের হরিণী।
প্রায়ই দেখি, তবুও সিলেটে তার ভিন্নরূপ ,
পেছন থেকে ডাকি, সে শোনেনা
অথচ সেই মেঘগুলো শোনে,
বৃষ্টি বন পাখি ওরা সবাই এ ডাক শোনে,
সাড়া দেয়,


কালো চোখের হরিণী
ক্যাম্পাসের লুব্ধ হাহাকারে চোখ তুলে চেও
হয়ত আমিও দুঃখহীন হবো
আর আমার কেবলই মনে পড়বে,
একবার জাফলং গিয়েছিলাম!