এখনো মনে পড়ে!
বটতলার এই সুবিশাল প্রান্তরে,
সবুজ দুর্বাঘাসের উপর বসে হাতে রেখে হাত,
অবুঝ মনের কত স্বাদ-আহ্লাদ।
বলতে তুমি,আমিও,শুনতাম নিরবে,
কানেকানে কানাকানি শুনশান এ ভবে।
শিউলি বকুলের মালা পড়াতে গলায়,
ব্যাকুল উন্মাদনা,স্বপ্ন উচ্ছাস গাঁথা সে মালায়।
হাজার বছর ধরে এ পথের শেষে,
নিঃসঙ্গ এই বটতলা একা কেঁদে হেসে,
পেয়েছে তোমায়,পেয়েছে আমায়
পেয়েছে কিছু আহ্লাদি প্রেম
কিছু ঘুমকুড়ানো রাত,বিমুর্ত স্বপ্নে ঘেরা,
পেয়েছে আপন আকাশের দিগন্তে উড়ে বেড়ানো
দুটো নিশাচর পাখি,
পেয়েছে শত বেদনার রাখি।
কিছু মায়াবী সোনারঙ্গা বিকেল
পায়েচলা সবুজ মেঠোপথের হাতছানি নিয়ে
মিশেগেছে এই বটতলায়।


এ সেই বটতলা,
এ সেই সোনালী দিগন্তে মিশে যাওয়া
একটুখানি বিলাসী জলাধারের পথের ছায়া,
যা সুবিশাল জটাধরা কেশ এলেদিয়ে ডাকছে তোমায়,ডাকছে আমায়,
গ্রীষ্মের খরতাপে প্রখর প্রকৃতি থেকে তার ছায়ায়।
ডাকছে সে"এসো,এসো হে প্রেমপুজারিরা!
তোমাদের প্রেমযুগলে এ সময় বাধা
অথচ বিচ্ছিন্ন এ বসুধা,
শুধু তোমরা বিচ্ছিন্ন বলে"।