প্রিয় অনু,
ঘুমোওনি নিশ্চয়ই?
আমি জানি, আমাকে নিশ্চুপতার কাছে বসিয়ে একা একা ঘুমুতে পারোনা তুমি,


অথচ এই আমিই চাই তুমি ঘুমিয়ে পড়ো, আমার আগেই। আমার জন্য অপেক্ষা না করে খোপার চুলগুলো খুলে বালিশে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ো, চোখের নীচে জমে থাকা ঘুমগুলো একে একে কোহেকাফের নীলচে আলোয় মিলে যাক, সরীসৃপের কষ্ট আঁকা গোপন রাত্রিতে তুমি ঘুমিয়ে পড়ো,


ঘুমুতে গিয়ে দেখো ম্যানগ্রোভ রহস্যের অদূরেই বিশাল জাদুঘর, গাছের সঙে হেলান দিয়ে কবিতা পড়ছে অনেকদিন আগের বালকপুরুষ। বালকের হাতে মিশিমিশি আফ্রিকার ঘুম, সেই ঘুমগুলো কার গো, কার?
সেই ঘনান্ধকার আমাজনে সাহস করে একবার ঢুকে পড়ে ঘুমগুলো ছিনিয়ে এনো নতুবা বালকপুরুষে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ো। আর কোনওদিন ফিরে আসো না আসো, বালক স্বস্তি পাক। বালক কিংবদন্তী হয়ে যাক।


অতঃপর স্বপ্ন সবুজ আঁকা বনভূমি পেরিয়ে তুমি ঘুমিয়ে পড়ো,
সিঁথিকাটা চুল এলোমেলো হয়ে যাক, সুডৌল নাকের নীচে গোলাপি ঠোটদুটো সযতনে তুলে রাখুক চুমুর পাহাড়,
আমাকে ভীষণ রকম অবহেলা করে কাটানো রোদ্দুর, কৃষ্ণচূড়ার রাস্তাওয়ালা দিন এসব তোমারই থাকুক ,
তুমি ঘুমিয়ে পড়ো, হাতে আধো ধরে রাখা রুদ্রর কবিতার বইখানি এলিয়ে পড়ুক নরম বিছানায়,


প্রিয় অনু,
মহাজাগতিক চাঁদের সাথে অভিমান ঝরা সৌন্দর্য নিয়ে
তুমি আজকাল এত রাত জাগো কেনো? জীবনের সফেদ দেয়াল পেড়িয়ে গিয়ে অপারেই একটা ঘুমের পাহাড়, ডিঙোতে হবে বলে বারেবারে হাতরাতে থাকি তুলোর আস্তরণ, তুমি না ঘুমুলে ওপারে কিভাবে যাই অনু? আমাকে নিস্তব্ধতার কাছে বসিয়ে সুপারসনিক ভালোবাসা ভর করে পায়ে পায়ে, নিস্তরঙ্গ ভালোবাসা


অনু, আমার অনু, দীঘল রাতের মায়ামৃগ,
অন্ধকার এখন খুব প্রিয় আমার, তুমি অন্ধকার তুলে রেখো বুকের গাঢ় ভাজে,
অন্ধকার খুলে রেখো নরম ঠোটের খাঁজে।
আমি অন্ধকারে আসি,
অন্ধকারে বসি,
শুয়ে পড়ি নিদারুণ অবহেলায়, তোমার অবহেলায়।
ভালোবাসার সলতেয় আগুন ধরিয়ে আলোকিত করি এই রাত্রি, তাই কোহেকাফের অন্ধকার পাহাড়ে, তুলোর পাহাড়ে রাখি হাত, হাত এগিয়ে যায়, উপরে ওঠে, উঠতে উঠতে একসময় দগ্ধ ফণায়নে সলতে নিভিয়ে দেয়, আমি অন্ধকার ভালোবাসি, অন্ধকারে ভালোবাসি, দীঘল রাতের মায়ামৃগ, আমার অনু
ইতিহাস লুকিয়ে রাখা রাইকিশোরীর রাতে, ফুটফুটে অন্ধকারে অপেক্ষা করতে হবে আমায়, রাতগুলোকে বিসর্জন দিতে হবে, সুপারসনিক ইগো এখন অপেক্ষায়, ভালোবাসার অনু