এসো; একদিন
এসে আমায় খুব করে কষ্ট দিয়ে যেও।


আমি আর কিছুই চাইনা তোমার কাছে। তবুও একদিন এসো
তবুও একদিন এসো....


তবুও একদিন আমার হাতটি ধরে, পৃথিবীর বিকেলবেলায়
যেখানে প্রজাপতি আর ফুলের কোন সম্পর্ক নেই; কিংবা থাকতেও পারে
যেখানে মলিন ধুলোবালি আর মাটিতে কোন সম্পর্ক নেই; কিংবা থাকতেও পারে
যেখানে উদাসী আকাশ আর কালোকালো মেঘগুলোর মাঝে কোন সম্পর্ক নেই, কিংবা থাকতেও পারে
যেখানে, যেকোন বৃষ্টিবহুল জোছনাজ্বলা রাতে; মাদুর পেতে শুয়ে থাকা ছাদ, শিলাজাত অচেনা ব্যথায়
যখন তোমাকে মনে পড়ে; সেখানে তোমার আর আমার মাঝে কোন সম্পর্ক নেই কিংবা থাকতেই পারে।


মনে করো, একদিন তবুও এলে; এলোমেলো কেশ
তোমার সেই নীল শাড়ি, বাম গালের ছোট্ট তিল, হাতে ছোট্ট ঘড়ি, কাঁধেচাপা ব্যাগ
এসে দেখলে, আমি আর বৃষ্টিতে ভেজার জন্য উন্মুখ নই, উদাস নই, বেশ হিসেবী খাতায় নিজের জীবন বেঁধেছি।
এখন আর প্রজাপতি-ফুল, ধুলোবালি-মাটি, আকাশ আর মেঘের মাঝে সম্পর্ক খুঁজিনা।
মাঝরাতে ছাদে শুয়ে থেকে, শিলাজাত অচেনা ব্যথার জন্য উদাসী হই না,
তখন তুমি আসলে, এসে দেখলে; আমি আর জল জোছনার দিনগুলোতে তোমার কথা ভাবিনা, ভাবতে ভুলে গেছি কিংবা যেতে হয়েছে
তখন?


ফিরে যাবে? এতদূর এলে, তোমার এই আসতেই এত্তগুলো বছর গেলো
বহুবছরের পথ। কি করবে?


তবুও তুমি এসো, এসে
আমার এই মলিন জীর্ণ হাতে রেখো হাত, মাঝরাতে মাদুর পেতে;  জোছনার আলোয় পাশাপাশি বসে যেও
তবুও, একদিন।


একইদিন, পৃথিবীর জন্মদিন এবং তোমার আমারও।