কল্পিত কারাগারে তার আমার বসবাস–
উপেক্ষিত চোরাবালি’র পারা পারে জগত-বাস
সুখ স্বচ্ছন্দ ভাগাভাগি, আনন্দঘন চাষবাস।
সাথী করিছি প্রাণ মনে তারে, চাইনি অনিষ্ট
ভালোবেসেছি, প্রণাম করেছি, করিনি পথভ্রষ্ট।


সেদিন বর্ষার জলে ভরাডুবির মহে
তুমি আসোনি পাশে– দেখোনি বিরহে
কতো ক্রোশ পাড়ি দিতে চাও, শুনি?
উপেক্ষিত চোরাবালি হয়ে উড়বো মেঘের ভেলায়
বলবো বেঁচে থাকা, স্বত্তার বিরোধ-অনুতাপ
বোঝাবুঝি করবো চলে যাওয়ার বাসনা, ত্যাগ।


দূষিত কালচিটে পড়েছে তুমার কলঙ্কিত দেহে
আমি স্বর্গীয় মায়াকানন গড়বো তুমার প্রেমে
তবু কেনো উপেক্ষা? অপেক্ষার রাত্রি বিষাদ বদলে ত্রি শাল
প্রিয়া ছাড়া ক্রিয়ার কাল বড্ড ভূতুড়ে, পথহীন-দেশের যাদুতে!
আসো গাহি অবিরত যবে রবো বিরত— তব আসো হে।


গগনবিহারী পাখি কালো মেঘের মতো উড়ে যাও
বাধা নেই, বাধ্যতা নেই, আকুলতা নেই, নেই বারি-প্রপাত!
আছে আমার প্রেম আর— তুমার উপেক্ষার চাদর,
ভাদরের শেষ বেলায় উল্লাসে মাতোয়ারা নব্য প্রিয়া
নারী’র চলন বাঁকা–নর বাঁকা বিলাশির উপেক্ষিত চোরাবালি।