১ মার্চ ২০২০, টোকিও, জাপান


(আমার সুপ্রিয় ছাত্রী Ando Miyu জন্যে )


তোমাকে যখন প্রথম দেখি
মনে হয়েছে কতটা বিষাদ ঘিরে আছে তোমাকে
তোমার কণ্ঠে ঝরেছিলো ভোরের শিশির পড়ে যাবার স্নিগ্ধতা অথচ মলিন
তোমার চোঁখের মগ্নতা পড়ে মনে হয়েছে তুমি খুব একা এবং  নিভৃতচারী অথবা নিঃসঙ্গতাকে  ভালোবেসে বেড়ে উঠেছ,
যেমন বেড়ে উঠে পাহাড় ।


তোমার আমার যত বার কথোপকথন হয়েছে ততবার মনে হয়েছে তুমি তোমার চেয়ে ও প্রকৃতিকে বেশি ভালোবাসো।


তুমি বার বার বলতে চেয়েছো পাহাড় এবং সমুদ্রের মাঝে একটা কো-রিলেশন আছে।


যেমন থাকে বনজ বৃক্ষের সাথে পাখিদের, সবুজ পাতার সাথে সূর্যালোকের।  


তুমি মাঝে মাঝেই বলতে পাহাড় সমুদ্রকে গভীর ভাবে ভালবাসে।  


সমুদ্রের যত চলমান স্রোতধারা ও উচ্ছাস সব পাহাড়ের জন্যে।
আর পাহাড়ের বুক চিড়ে যত ঝর্ণাধারা প্রবাহমান সব সাগরের জন্যে।


তুমি একবার আসিনোকো লেক দেখতে গিয়েছিলে
লেকটা মাউন্ট ফুজির কাছাকাছি।


সেখান থেকে এসে আমাকে বলেছিলে
জানো আমি কি প্রার্থনা করেছি হাকোনে Shrine -এ ?


আমি ভোরের প্রথম আলোয় প্রার্থণালয়ের চিবুক ছুঁয়ে ঈশ্বরকে বলেছি,
প্রতিটি বৃক্ষ যেন ফলবতী হয়ে বেঁচে থাকে তিন হাজার বছর।  
প্রতিটি পাহাড় যেন সমুদ্রকে ভালোবেসে বেঁচে থাকে এক  কোটি বছর।  


ভালোবাসাকে তুমি এতটাই প্রলম্বিত করেছিলে যেন ঈশ্বরের কাছাকাছি।


তুমি ভালোবাসাকে একমুখী করে দিয়েছিলে,
তুমিই প্রথম শেখালে ভালোবাসা নেবার নয়
ভালোবাসা নিবিড় ভাবে দিয়ে যাবার জন্যে।


তোমার একাকিত্বের আশ্চর্য সুন্দর
জাদুকরী প্রেম বিলিয়ে দিচ্ছ ..
পৃথিবীর সমস্ত বৃক্ষের ভ্রূণমূলে,
অবহেলায় বেড়ে উঠা বনফুলের প্রতিটি পত্রবৃন্তে,
সমুদ্র গর্ভে অভিমান নিয়ে বেঁচে থাকা শ্যাওলার সবুজ মায়ায়,
পাহাড়ের চূড়ায় জমে থাকা বরফের শুভ্রতায় ।