নিকষ কালো অন্ধকার, ঝিঁঝি পোকার গুঞ্জন,
অমাবশ্যা চাঁদটাকে দিয়েছে ঢেকে।
পৃথিবীর বুকে গাঢ় অন্ধকার রাতে,ভায়োলিনের করুণ সুরের মুর্ছনায়
রচিত হল ধর্ষণের দৃশ্যপট।
স্খলিত আজ মানবিক মূল্যবোধ।
নষ্ট পৃথিবীর নষ্ট সভ্যতায়,ষোড়শীর দেহটা ক্ষত বিক্ষত।
বিষাক্ত ক্যাকটাসের কাঁটার বিষে পাণ্ডুর মুখটা বিবর্ণ,
ঠোটের নিচে কালশিটে দাগ,
চুলগুলি অবিন্যস্ত,
বেঁচে থাকলে কলঙ্কের কালিমা লেপ্টে থাকত
রক্তিম অধর জুড়ে।
তাই জীবনের লীলা সাঙ্গ করে
শুয়ে আছে এখন লাশকাটা ঘরে।
মনুষ্যত্বের বিবেক আস্তাকুড়ের আবর্জনার মত দুর্গন্ধময়।
শিশু থেকে বয়োবৃদ্ধ প্রতিটি নারী
আজ ধর্ষণের শিকার হয়।
কপাটবিহীন মর্গের ভিতর পড়ে আছে
প্রাণহীন নারীদেহখানি।
সেখানেও সে নয় নিরাপদ,
আরেকদফা হল নির্যাতিত পৈশাচিক বর্বরতায়
মানুষরূপী শ্বাপদের হাতে।
ধরণীর বুক উঠছে কেঁপে
মৃত ধর্ষিত নারীর নীরব আর্তনাদে।
অতৃপ্ত আত্মার ফরিয়াদে গুমরি উঠিল আল্লাহর আরশখানি।
পৃথিবীতেই পাষণ্ডের কপালে জুটবে জাহান্নামের অগ্নি।