নিড়ানো ক্ষেতের  আলপথ ধরে
নদী পার হয়ে
ভালবাসার মানুষের হাত ধরে শহরে
এসেছিল মেয়েটি।
উঠোন ভরা সুখের আশায়,
বড় সাধ ছিল তার,
স্বামী সোহাগী হয়ে ভালবাসার জোৎস্নায়
জড়ানো একটি সংসার।
কৃষ্ণাতিথীর পূর্ণশশীতে রচিত হবে বাসর।
অমোঘ ভালবাসার টানে ভরা সুখের ঘর।
অতঃপর,
মেয়েটির স্বামী চাকরী যোগাড় করে ,
ছোট দুরুমের বাসা ভাড়া নিল।
কিছুদিন যেতে না যেতে,
হঠাৎ একদিন,
কারখানার শ্রমিকদের নিয়ে গেল
রাজনৈতিক জনসমাবেশে।
শ্রমিকদের সাথে মেয়েটির স্বামীকেও যেতে হল।
গণহারে গ্রেফতার,ক্রস ফায়ার,অবশেষে গুম
হীম শীতল লকআপে ময়নাতদন্ত সম্পাদন,
পরিশেষে,বেওয়ারিশ হিসেবে লাশ দাফন।
মেয়েটি জানলও না তার স্বামীর পরিনতির কথন।
সুখের ঘুড়ি সুতো কেটে চলে গেল অজানা পথে।
ভালবাসার ফুল গুলি না ফুটেই ঝরে গেল প্রাতে,
স্বপ্নগুলো হারিয়ে গেল বাঁধভাঙ্গা কষ্টের
অনিবার্য স্রোতে।
ঋতুর মতই বদলে গেল মেয়েটির নিয়তি,
শোষণ আর ত্রাসের রাষ্ট্রযন্ত্রের কাছে
পেল না স্বামীর খোঁজ,
অন্ধ বিবেক নির্লজ্জ রাষ্ট্র সমাজ,
তাই, অসহায় মেয়েটির কাছে
জবাবদিহিতার প্রয়োজন নেই আজ।