এক সময় পুরুষের লেখালেখির উঠোনে,
নারী যখন লিখতে চাইত,
     বলা হতো,
আরশোলার  আবার পাখী হবার শখ।
আবার কখনও বলা হতো,
নারী লিখে না,নারীকে নিয়ে লিখা হয়।
নারী গড়তে পারে না,
তাকে গড়া হয়।
নারী নিজে আঁকতে পারে না ,
কল্পনাচিত্রে নারীকে আঁকা হয় কত রূপে।
অতঃপর এবড়ো থেবড়ো বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে ,
নারী আজ লিখে, আঁকে,
ভেঙ্গে চুরে নুতন রূপে গড়ে নিজেকে।
আজও সময়ের স্রোতে,
নারী কি পেয়েছে তার মুক্তি?
অথচ নারীকে পণ্য বানাবার,
একচেটিয়া অধিকার কে দিয়েছে তোমাদের?
কিছু নারীবাদী পুরুষ বক্তৃতা করে
মাঠে ময়দানে।
স্বল্প বসনে,নারী মুক্তি আনে
তারপর, ভোগবাদী সমাজের উঠোনে
নারী হয় বিবস্ত্র,গন্তব্য হয়
পুরুষের তৈরী নিষিদ্ধপল্লীর পানশালায়।
পদ্মা মেঘনা যমুনায়,কত জল গড়িয়ে যায়
অন্ধকারের কপাট ভেঙ্গে নবীন সূর্যের উদয়।
যুগ যুগান্তরের ইতিহাসে,সাক্ষী হয়ে রবে
"মেয়ে মানুষ" বলে তাচ্ছিল্য নয়,
পুরুষ নারী বাস করবে সমমর্যাদায়।