আমি তো অনেক দূরে চলে এসেছি,
এখনও কি অভিমান করে থাকবে-
জানো যখন সন্ধ্যা হয় তোমাকে দেখি
মনের আঙিনায় ছল ছল চোখে
তোমার স্মৃতি গুলি স্বচ্ছ হয়ে ওঠে
দেখি তুমি লাল পেড়ে শাড়িটা পরে
সন্ধ্যার প্রদীপ জ্বেলে তুলসি তলায়
সন্ধ্যা দিচ্ছো-
কখন দেখি তুমি নিরবে সেই গানটা
গেয়ে চলেছো, এই স্বর্ণালী সন্ধ্যায়
কিযে বন্ধনে জড়ালে গো বন্ধু,
হ্যাঁ এতো দূরে থেকেও তুমি যে
হৃদয়ের কাছে রয়েছে –
পারবো না গো তোমাকে ছেড়ে থাকতে
দেখোনা তোমার সাথে কত কথা কত ঝগড়া করেছি
কিন্তু তুমি জানো না তার মাঝে একটা সত্যি
তোমার তনু মনে কখন যে আমি বাসা বেঁধে আছি
তুমি জানো না-এখানে কেউ নেই যাকে মনের কথা বলি
যাকে প্রাণ ভরে দেখি-যাকে জীবনের সঙ্গীত বলে জানি
যাকে প্রতিটি পল অনুভব করি যার কথায় হাসি পায়
যার কথা ভাবলে চোখে জল আসে – সে কেউ নয়
সে আমার লক্ষ্মী-
তুমি থাকিবে সারাটি জীবন ধরে
এই অন্তর জুড়ে-শেষ নিঃশ্বাস হয়ে আমি শুধু তোমারি
দেখো না তোমার কথা ভাবতে ভাবতে কখন আকাশে
তারা ভরে গেল-
কখন যে চাঁদ মামা স্নিগ্ধ ছটায় ভুবন ভরিয়ে দিল
কখন যে বকমামা বাসায় ফিরে গেল কখন যে রাখাল বালক
গোধুলি বেলায় নিজের গৃহে ফিরে এলো টের পেলাম না
শুধু বিরহের মাঝে তুমি রয়ে গেলে লক্ষ্মী
আমার আঁখি নীড়ে্-