সেদিন ঘুরতে গেলাম ইস্কন টেম্পেলে (হরে কৃষ্ণ মন্দির)
প্রচণ্ড গরম, নবদ্বীপের গঙ্গা রানীর ঘাট পার হয়ে যেতে হবে
সাথে রয়েছে আমার মেয়ে আর ছেলে- স্কুল ছুটি
সকাল দশটা বাজে – প্রচণ্ড গরম তবু যাব মহাপ্রভুর দ্বারে
একটা টোটো ধরে বরাল ঘাটে গেলাম-মনটা শান্ত-
কত দিন পর মহাপ্রভুর দ্বারে যাব- সবাই অধীর আগ্রহে চলেছি
নৌকো নয় যেন একটা বাজারে মেলা লেগেছে
সাইকেল, মোটর গাড়ি আর কচি কাঁচা বয়ে নিয়ে চলেছে
নৌকোর জেনারেটর স্টার্ট হল- গঙ্গার মাঝ বর্তী এলাম
আহা গঙ্গার কী অপরূপ শোভা, গঙ্গা যমুনা আর সরস্বতী
তিনটি ধারা বয়ে চলেছে কিন্তু কি আশ্চর্য
কেহ কারোর সাথে মিশে একাকার হচ্ছে না
পর পারে যখন গেলাম – টোটো, ভ্যানগাড়ি সমস্ত ব্যবস্থা
এদিকে মাথার ওপর প্রচণ্ড রোদ, সবাই ঘর্মাক্ত কখন পৌঁছবো
ঠিক করলাম একটা ভ্যানে করে আমরা মায়াপুর ঘুরব
আর ঠিক সেই মত কাজটা করলাম- প্রথমে গেলাম হরেকৃষ্ণ মন্দিরে
সেখানে টিকিট নিলাম ৩০টাকা দিয়ে-প্রসাদী খাবার খাওয়ার জন্য
ওখানে বলা হয় ভিক্ষা- একদিকে যারা পয়সা বেশি দিয়ে খাবেন
তারা দেবেন ৭০ টাকা যার যেমন সামর্থ্য
তার পর মনে মনে ঠিক করাম আবার কবে আসা হবে-
পুরো মায়াপুর ঘুরব- ওখানে মহাপ্রভুর মাসির বাড়ি এবং তাঁর জন্মস্থান
ঘুরে ফিরলাম-ঠিক সময়ে টিকিট দিয়ে প্রভুর প্রসাদ পেলাম
প্রথমে ভাবছিলাম আরো নেব প্রসাদ- প্রসাদে রয়েছে খিচুটি ভোগ একচামচ
ভাবলাম এইটুকু দিয়ে কি হবে- ওরে বাবা প্রভুর কৃপায় এল
ভাত- সোয়াবিনের তরকারি-টমেটোর চাটনি-মিষ্টান্ন
তাতেই পেট ভরে গেল তখন ভাবলাম প্রভুর কৃপা অপার
তিনি জগতের পালন কর্তা-তাঁর দয়া হলে কেহ অভুক্ত থাকে না
এটা গেল মায়া পুরের কথা
এদিকে আবার শুনলাম প্রাচীন মায়াপুর
সেখানেও নাকি মহাপ্রভুর জন্মস্থান
তাহলে কোনটা আসল জন্মস্থান সেটা-ভাবার কথা
মায়াপুরের বৈষ্ণবগণ বলছেন তারা ঠিক
আবার প্রাচীন মায়পুর বলছে তারা ঠিক
আমি আর এই নিয়ে মন্তব্য করলাম না
কারণ আমখেতে শেখ যে আম ভগবান নিত্য রসের মত
প্রদান করছেন সে হল হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ, কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে