দেখেছি তোমায় দূর থেকে -
তুমি লক্ষ্মীরূপিনি দেবী-তোমাকে করি সদা মনে মনে পূজন
তোমাকে পেয়েছি ভালবেসে-রাখিব যত্নে সদা-
বুকের মাঝে রেখেছি তোমায় – লাবণ্যময়ী প্রিয়তমা
কি করে বর্ণনা করিব তোমায় শব্দ নাহি
আমি চেয়ে থাকি আকাশ পানে-তোমার সুন্দর মুখখানি ভেবে
মনে হয় নিশুতি রাতের তারারা তোমাকে পাঠিয়েছে এই ধরণীতে
ভালবাসার বন্যা বইয়ে দিতে- তোমার কাজলা কালো চোখে
আমি দেখি স্বপ্ন জড়ানো-আকাশের মত বুক ভরা ভালবাসা
তুমি উড়ে যাও রাজহংসের মত ডানা মেলে-নীল গগনের কোন এক কোনে
কখন দেখি পরীর মত পেখম মেলে ডাকছ আমায় হাতছানি দিয়ে-
হয়তো তুমি ভাবছ বসে নিরালা- সত্যি কি থাকবে এমন দিনগুলি-
অপরূপা-তোমায় বলে যাই এই হৃদয়ে গাঁথা মালা-
চোখের জ্বলে সিক্ত হয়েছে
তারি পারিজাত ফুল প্রস্ফুটিত হয়েছো তুমি
ঐ গোধূলি বেলায় অস্তগামী সূর্যের আলোয় তোমার হাতের আলতো ছোঁয়া-
বাতাসে বাতাসে ফেরে ভেসে আসে তোমার সুবাস
ধূপ পুড়ে পুড়ে ছাই-আর তুমি কস্তুরী সম ভরে দিলে সুগন্ধ
বাহুডোরে বন্ধনে বাঁধলে হৃদয়-দিলে আমার জীবনে প্রেমের সুধা
পূজার নৈবেদ্য নিয়ে পায়ে করিলে প্রণাম-
আমার স্ত্রী রূপে- নিলে আমার হাতের একচুটকি সিঁদুর
করিলে আমায় সম্মান-এই জনমানসে হৃদয়ে রাখিলে আমায়
আমার হাতের মালা-দিল তোমার গলে-জীবনের বন্ধন
তোমার দুটি কোমল হাত নিলো জড়ায়ে আমায়-
আমার বক্ষ হল হিমের সাগর তোমার ছোঁয়ায়
তুমি অপরূপা লক্ষ্মী প্রিয়া- অহরনিশি তুমি থাকো আমার দুচোখে
স্বপ্নের বেড়া জল হয়ে-