নীলু আর প্রতিমার সংসার খুবই আনন্দ মুখর
সংসারে শ্বাশুড়ীর অমোগ প্রেম –
প্রতিবেশীরা প্রতিমার প্রশংসায় পঞ্চমুখ
সংসার তো নয় এক স্বর্গ-
স্বামী স্ত্রীর অফুরন্ত ভালবাসা-
তাদের একটা পুত্র জন্মালো
ঘরে চাঁদের হাট বসল
এই ভাবে বছর কাটিয়া গেল কিন্তু ছেলেটি বড় রুগ্ন
বাবা-মায়ের আদর সহ্য হল না রোগে ভুগতে থাকে
ডাক্তার কবিরাজ দেখিয়েও তারা নাজে হাল
শীতের দিন দুইজনাতে রাত ভোর ছেলের শ্রূশষা করতে লাগল
মন্দির মসজিদ সব করিল –
শেষে ডাক্তার কবিরাজ সবাই জবাব দিল-
কারোর পেটে দানা পানি নেই-
দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা হতে চলল
ছেলেটি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করল-
বাবা-ও কয়েকজন প্রতিবেশি – চলল কোদাল হাতে
বাবার কোলে চাদরে মোড়া ছেলেটি
চোখের জল বিগলিত হল দুই গাল বেয়ে
শেষে তারা এসে পৌঁছাল মা যমুনার কোলে
হিমেল হাওয়ার মাঝে নিস্তব্ধ দুই ধার
বালুকা রাশির মাজে কোদালটি ঝপ ঝপ করে
ভূমি খনন করল-
বাবার হৃত্পিণ্ড ফেটে চৌচির হল
বাবা ছেলেকে প্রকৃতির কোলে শুইয়ে দিল
সন্ধ্যা ঘনিয়ে এল অন্ধকারে কুয়াশার মধ্যে মিলিয়ে গেল
যমুনার সৈকত-