তখন আমি খুব ছোটো
আমাদের ঘর থেকে কিছু দূরে
লতা দিদিদের ঘর- তারা আমাদের আপন নয়,
তবুও আপনের থেকে অনেক বেশি
লতা দিদিরা বড় গরীব- দিদির মা আছে
বাবা নেই, আমি ওদের বাড়ি গেলে- কিছু না কিছু দিত
কখন নেড়ো, কখন পটল,
কখন লাল রঙের ছোটো ছোটো বিস্কুট,
লতা দিদির মা লোকের বাসায় কাজ করে
মনে পড়ে-
আমি না পড়লে মা আমাকে মারত
আমি পালিয়ে যেতাম লতা দিদির বাড়ি
একদিন লতা দিদির বিয়ে হয়ে যায়- শুনতাম
দিদির বরটা ভাল নয়- মদ তাড়ি খায়
দিদিকে প্রায় মারধোর করে –
দিদি যন্ত্রনা সহ্য না করতে পেরে
চলে আসে নিজের বাড়ি- সাথে একটি
ছোটো ফুট ফুটে মেয়ে-
তাকে নিয়ে দিদির নিত্য জীবন
কাজ করে যাহা পায় খেয়ে পরে বেঁচে থাকে
বড় অভাব
মা যাহা পারত দিদিকে দিত- হঠাত্ খবর পেলাম
দিদি চোখেও ঠিকমত দেখে না,
ডাক্তার বললে চোখ অপারেশন করতে হবে
কিন্তু দিদি রাজি হল না পয়সার জন্য- ভিতরে ভিতরে
দিদি চিন্তায় চিন্তায় শুকিয়ে যেতে থাকে-
এই ভাবে জীবন প্রবাহ চলতে থাকে
একদিন-দিদির ভীষণ শরীর খারাপ হয়
ডাক্তার কবিরাজ সবাই দেখল – কিন্তু সমস্ত
চেষ্টা বৃথা গেল- ডাক্তার জবাব দিল
দিদি মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ল-
নিয়তির ডাকে সে যে চলে গেল-
সে আমার লতা দিদি