বহূ বছর পর পূর্বের তুই এখন আর সেই তুই নেই,
উষ্ণ শব্দগুলোও মনে হয় আজকাল ভুলতে বসেছিস।
গুছালো চুল,সংসারী চোখ নীরবে তাই যেন বলছে ,
মনে পরে কি?কাঁধে ঝুলন্ত  নকশীকরা পাটের ব্যাগ
কালো ডাইরি,দুটো বলপেন,পরনে গেরুয়া রঙ্গের শাড়ী।
টিফিনের ফাঁকে কোকিলের ডাকে কৃষ্ণচূড়ার ছায়াতল,
নতুন লেখা কবিতাটি আবৃতি করতি কিছু ক্ষন পরপর।
অট্টহাসি বাতাসে মিশি ফুলের গন্ধে হত যেন একাকার,
ক্লাস শেষে কফি হাতে,সেই হাসির দেখা মিলত আবার।


জানিনা কি কারণে হৃদয়ের গহীন হতে গহীনে চলতি হেঁটে
হয়নি বলা সেই কথা,কেনইবা বলতে হবে ভালোবাসি তোকে?
হৃদয়ের সবটা দিয়ে তোকেই যে চাই জীবনের বাকীটা পথে
জ্বলজ্বল আমার প্রেমাদৃষ্টি একথা শত-সহস্র বার বলেছে তোকে।
বুঝমান অবুঝ সেজেছিলি কতবার উড়িয়ে দিতি অট্টহাসিতে
কাঙ্গাল করিওনা মোরে অপলক চাওনিতে বাঁধিয়া প্রেমের ডোরে।
আঁকা তোর ছবি মনের আকাশের নিত্য ভালোবাসার রবি
চোখের মাঝে দেখতিস তুই,তোর কবিতায় আঁকা রয়েছে নিরবধি।


আজ সে অবসর আর কোথায়.......................?
সাদামাটা আফিসিয়াল শাড়ী,কপালে ছোট টিপ,সিঁথি করা চুল
কালো ফ্রেমের চশমা,নাকে সোনার নোলক,কানে ঝুলছে দুল।
ব্যস্ততার স্রোতে ভেসে চলা ক্যাবিকরা হরণীচোখা মেয়ে বকুল
অফিসের কাজ,সংসারী জীবন,ছন্দময় নির্মল কবিতার মতন।


আমি আজ হাঁটি তোর কবিতার হয়ে সাথী
রেখেছি তোর ফেলা আসা সেই দিনগুলো স্মৃতি।
কোন এক বসন্ত বিকেলে ব্যস্ততা পিছে ফেলে
আমার লেখা কবিতার পাতায় দিস যদি উঁকি।
লিখে যাই তাই ভালোবাসার অসম্পূর্ণ কবিতাটি
ভালোবাসি বকুল,চেয়েছিলাম হতে তোর দু'কূল।