বীচ কন্যা, বিচেই বসতি
দিনাজপুরের ক্ষুদ্র কুড়ে ঘরে লালিত
শত আশা বুকে নিয়ে
বড় হওয়ার স্বপ্নে যে স্কুলে যেত
বাবা মায়ের আদরের একমাত্র মে অন্তরা
জীবনের ছোট্ট ভুলে আজ সে বিচে
অন্তরার অন্তর আজ মৃত্যুর গভীর ক্ষাদ
শরীর পিপাসু হায়েনার
চোখের চশমার কাঁচে
অন্তরার বস্ত্রহীণ উদম দেহ
নৃত্য নাহি করে।।
নিস্তেজ, নিথর দেহ
সঙ্গমে সুখ নাহি আসে।।
শরীরের মাঝে এক বড় গহ্বর
ইটের ভাটার মত সে
ক্ষুধার যাতনায় জ্বলে ধুকে ধুকে।।
তাকেই শান্ত করতে অশান্ত নির্মমতা।
জীবনের ছোট্ট ভুলে
অন্তরা আজ বিচে।
রুস্তমকে ভালোবেসেছিলো অন্তরা
বুকের বাম পাশে শূন্যতার গহ্বর ছিল।
মন্ত্রমুগ্ধের মত হ্যামিলনের বাশিওয়ালার সুরে
অন্তরার সম্ভ্রম নিল নরকের নরপিশাচ।।
বেপরোয়া হায়েনা মজনু
ভালোবাসার অন্তরাকে অন্তরে না রেখে
লোক সম্মুখে করিলো উন্মোচন
উঠতি যুবারা অন্তরাকে
এখন ফোনে নিয়ে হাটে
শান্ত মনে অশান্ত উন্মাদনা
নিস্তেজ, নিথর মধ্যরাত্রি।।
বাবা, মায়ের গলায় পেচানো মৃত্যুবস্ত্রে
নির্দোষ অন্তরা আজ বীচকন্যা।।
স্বার্থপরের স্বার্থান্বেষী আত্মহুতি
অন্তরার ভিটেমাটি ছেড়ে
বিচে আসার বেদনাদায়ক ইতিহাস।।
অনিশ্চয়তার গহ্বরে অন্তরার অন্তরে
আজ নির্মম নির্লিপ্ততা
লজ্জাহীন ধর্মাবতার।।
অন্তরার শরীরে আজ কীটের আনাগোনা।।
ভালোবাসাহীন পৃথিবীতে
নরখাদক হায়েনার ছড়াছড়ি।।
স্বার্থান্বেষী পৃথিবীর স্বার্থপরতা
অন্তরার বিচে আসার গল্প।।