জানি টুনটুনি আজ
আমাকে তোমার দেখতে ইচ্ছে করে না
এক্সিডেন্টে বিকৃত মুখ আমার
হাত পায়ে কাটা ছেড়ার দাগ
কিন্তু এমনও দিন আসবে
যেদিন খুজে ফিরবে আমাকে
বাংলার প্রতিটি ঘরে
মন্ত্র পড়া যোগির চিবুক উঠিয়ে
খুজবে আমায়।।
তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিয়ে চেয়ে থাকবে
অফিসের ঐ যে কেরানি ছেলেটা
কবির মত চেহারা মনে হবে
তার হাসিতে, ভ্রু কোচকানোয়
দুষ্টুমিতে হাতরে বেড়াবে আমাকে।।
তোমার নির্লজ্য চাহনির প্রতিউত্তরে
অসভ্য ইঙ্গিতে
খেই হারিয়ে ফেলবে তুমি।
আমি দেখবো উপর থেকে
হাসবো মিটি মিটি।।
আলেয়ার আলোর মত
মরা গাঙ্গে বৃষ্টির ফোটার মত
হাতরিয়ে বেড়াবে আমার স্মৃতি।।
মরুভূমির মরীচিকা হবে
অথৈ সাগরে এক ফোটা শিশিরের কলঙ্ক
পাছা দুলিয়ে তোমার হেটে চলা
সাঙ্গ হবে সেদিন।।
হয়ত শেষে কোন এক অমাবস্যা রাতে
কোন এক জনহীন শশ্মানে
আমায় খুজে পাবে তুমি
উস্ক, খুস্ক চুল নিয়ে
তোমার সামনে আসবে এক উম্মাদ
অর্ধভষ্ম এক মাথার খুলি
ধরিয়ে দিবে তোমার হাতে
এই তোমার কবি।
মন্ত্রমুগ্ধের মত পাগলের দিকে তাকিয়ে থাকবে তুমি
এই তো আমার কবি
হাত এগিয়ে ছুতে যাবে আমাকে
আমি নিমেষেই হারিয়ে যাব
অন্ধকার অমাবস্যা রাতে তোমার সেদিন ভয় হবে না??
জয়ের পৈশাচীক আনন্দে হাসবে কি তুমি??
উম্মাদ, নির্দয় হাসি।।
নাকি দুহাতে মাথার চুল টেনে ছিড়বে??
ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদবে সেদিন??
যাই কোরো সেদিন
আমার জন্য দুফোটা
চোখের জল ফেলো।
নোনতা, ছলনাহীন, পবিত্র
দুফোটা অশ্রু।
তৃষ্ণার্ত প্রেমিক আমি
দুফোটা পবিত্র অশ্রুতে আমার
নরক আগুন ক্ষান্ত হবে।।
ভ্রান্ত ভুল বোঝাবুঝি
হারিয়ে যাবে নিমেষে।।
আমি আবার ফিরে আসবো
তোমারই বুকে
তোমার পোষা বিড়ালটার বুকে কান পেতে শুনো
কথোপকথন হবে আমাদের
ভ্রান্ত ভুলের অশান্ত মন
শান্ত কোরো সেদিন।
দিও আলতো মৃদু চুম্বন।।