বৈকুণ্ঠে তুই মহালক্ষী; ব্রম্ভ লোকে ব্রম্ভানী,
কৈলাসেতে অনির্বচনীয়া শিবের ঘরণী।


তোর রূপে ত্রিলোক জ্বলে; বিশ্বজুড়ে তোর রূপের ধারা,
কালীঘাটে মহাকালি, আবার... তারাপীঠে তুই যে ৺তারা।


বহুরুপে প্রকাশিলি কখন, কালি, কখন তারা
কখনওবা হৈমবতী; অগতির তুই যে গতি,
রুপভেদে কখন তুই দক্ষকন্যা মহাসতি।


কখন তুই মা করালবদনী, মুক্তকেশী, ইন্দ্রজালী;
কখন তুই মা মঙ্গলদায়িনী, মহাগৌরি, ভদ্রকালী।


মা তোর আমি অবোধ ছেলে;
নে'মা আমায় একটু কোলে!
খেলার ছলে করেছি যে ভুল,
তুলিনি তোর পুজার ফুল।


দুষ্টুমি আর করবনি মা
দিলাম কথা, নে মা শ্যামা,
দেখাস নে আর ভয়।
এবার আমি দুঃখ পেলে
ডাকবে কে তোকে মা মা বলে
করবে কে আর ভয়?
মা বিনে সন্তান, আর সন্তান বিনে কি মা হয়!