পটভূমিঃ-


{প্রেত লোকের সব থেকে জনপ্রিয় মাঠ, থুড়ি!; ভূতেদের কাছে খুবই "অপবিত্র" এবং জনপ্রিয় মাঠ এই "ভুশুণ্ডি"। আর আজ ভূতচতুর্দশীর পুণ্য লগ্নে সেই মাঠেই বসেছে, "নিখিল বিশ্ব অখিল বঙ্গ ভূত সম্মেলন"।


আমি মহারাজ একজন সহানুভূতিশীল ভুতবাদী মানুষ; যার জীবনের অন্যতম লক্ষ্য, সেই সকল বিদেহী আত্মারা যারা জীবন থাকতে কোনদিন দুদণ্ডও শান্তি পাননি, তারা যাতে মরণের পর অন্তত দুদণ্ড শান্তি পান, সুখি হন।


সেই কারনে এই অমানবিক সমাজ থেকে একমাত্র আমাকেই এনারা মানুষ হিসাবে সাদর আমন্ত্রন জানিয়েছেন।}
*************************************************
কবিতাঃ-


কোলকাতার যত প্রাচীন বাড়ি; আক্রান্ত আজ ক্ষয়রোগে,
প্রমোটারের মোক্ষম চালে; সব যাচ্ছে মায়ের ভোগে।


হাতিবাগান কিংবা কালীঘাট;
সব পাড়াতেই "আবার খাবোরা" বাঁধাচ্ছে ঝনঝট।
পাড়াতে পাড়াতে বাড়িতে বাড়িতে; প্রলয়ঙ্কর ঝগড়া;
ঘোলা জলে মাছ ধরতে ব্যস্ত আবার ঠগরা।


ছোট বড় সব এন্টিক বাড়ি ভেঙ্গে হচ্ছে যে ছারখার;
শপিংমল আর মাল্টিপ্লেক্সে আজ আধুনিক কালচার।


গা ছম ছমে বাড়ুজ্জে বাড়ি; একদিন হাড় কাঁপাত,
সন্ধ্যা হলেই পাড়ায় পাড়ায় বিশুদ্ধ ভয় জাগাতো।
দাদা, কাকা কিংবা পাড়ার উঠতি কোন ছেলে;
বাড়ুজ্জে বাড়ির চৌকাঠেতে; যেতো না ভুলেরছলে।


এমনই ছিল সে সব দিন রঙিন কাঁচেতে মোড়া,
পাড়া গুলি ছিল খালি খালি সব; বাড়ি গুলো ভূতে ভরা।


বেলগাছেতে ব্রেম্মদত্তি; শ্মশানে শাঁকচুন্নি,
খালী ছাদেতে দাপিয়ে বেড়াতো মামদো কিংবা পেত্নী।


সেসব আজ রুপকথা;
চুপকথার'ই কোলে,
ভুতেরা আজ শব্দ করেনা ফিস ফিসিয়ে কথা বলে।


দু একটা বাড়ি আজো আছে বেঁচে,
নিচ্ছে এখনো শ্বাসঃ!!
ভুতেরা সেখানে উদ্বাস্তু হয়ে জীবন্ত ইতিহাস।।


বিঃদ্রঃ-অমর বাংলা সাহিত্যর ইতিহাসের কিছু জীবন্ত দলীল ঘেঁটে; আমার এই রচনা।