[একটি দিনের ৪ টি প্রহরের নৈসর্গিক চিত্র আঁকার প্রয়াস করলাম এই "৪ প্রহরের কাব্য" নামক কবিতায়]


সকালঃ


রাঙা আভায় ধরিত্রী সাজে; রাত্রি হোল ভোর,
তমসা রজনী ছিন্ন করে খোলো বন্ধ দোর।


সবুজ ঘাসে বিন্দু বিন্দু শিশিরের ওই কণা
ধরিত্রী বুকে এঁকেছে আজি; আলোরই আলপনা।


নয়নে মোর ঘোর লেগেছে,
সোনা রোদে আকাশ জেগেছে,
দখিনা বাতাস মন পাখাতে দোলা দিয়ে যায়,
প্রভাত এসেছে বিহগকূলে, ফুলদলে, অলিকূলে;
প্রভাত এসেছে আমার; হৃদয় আঙ্গিনায়।


দুপুরঃ


তালদিঘির ওই শান্ত জলে কতই ছবি আঁকা,
দুপুর এলো চুপি চুপি; দুপুর এলো একা।
তপ্ত রোদের বসন পরে দুপুর এসেছে মাঠে, ঘাটে, পুকুর পাড়ে, আমার মনের শীতল ঘরে।


সন্ধ্যাঃ


দিন শেষে সন্ধ্যা এসে জুড়াল আমার প্রাণ,
সন্ধ্যা এলো পৃথিবীর বুকে; ঘরে ফেরার গান।
পূব আকাশে সন্ধ্যা তারা মিটি মিটি জ্বলে;
সন্ধ্যা এলো পুকুর পাড়ে, সন্ধ্যা তুলসী তলে।
ক্লান্ত পথিক ফিরল বাসায়,
ফিরল পাখি আপন নীড়ে
সন্ধ্যা এলো তপ্ত ধরায়,
সন্ধ্যা এলো মনের ঘরে।


রাত্রিঃ


নিঃশব্দ চারিদিক, স্তব্ধ কোলাহল
একফালি চাঁদ একা জেগে রয়,
আর জেগে রয় রাতচরাদের দল।
অশরীরীরা ছিল যত; ভিড় করে শত শত
নির্বাক চেয়ে রয়; চুপি চুপি কথা কয়।
তখন ভোররাত; দুচোখে জড়ানো ঘুম,
শুকতারাটি মিটি মিটি চেয়ে; চরাচর নিঝুম।