কিছু প্রাসঙ্গিক কথাঃ-


'সুপ্রাচীন এই বঙ্গদেশে বহু ধারায় কাব্য, গীত রচনা হয়েছে। যেমন- ভক্তি গীতি বা শ্যামাসংগীত, লালন সাহেবের গান, সুফি গীতি, দেশাত্মবোধক গান, সমসাময়িক আধুনিক গীতি; এমন কি, বিহু, আউল, বাউল, টুসু, ভাদু, আরও আরও বহু কিছু বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যাওয়া গীত ধারার সূতিকাগার এই বঙ্গদেশ।


আমি আজ তেমনই প্রায় একটি অপ্রচলিত কাব্য সাহিত্যর অনির্বচনীয় রস আপনাদের সম্মুখে তুলে ধরেছি আমার কাব্যর মাধ্যমে। আমি আজ লিখেছি একি সাথে উমার আগমনী ও প্রাক-বিদায়ের গাঁথা।
*******************************


আগমনীঃ-


আনন্দি এলো ওই আনন্দ ভবনে;
শিশিরে শিশিরে তব চরন ধুইয়ে মাগো,
দেব শেফালী অঞ্জলি তব রাঙ্গা-চরনে।
উমারানি এলো ওই মৈনাক ভবনে।


বৎসরান্তরে একবার ধরায় শরৎ আসে,
আর তখনই তো নীলাকাশে;
তব স্মিত মুখ ভেসে আসে।
আশিষে ভরাও মাগো; তব প্রিয় ধরণী,
তব বানী বহিয়া যাক; অখিল-বিমানে।
আনন্দি এলো ওই আনন্দ ভবনে;
শিশিরে শিশিরে তব চরন ধুইয়ে মাগো,
দেব শেফালী অঞ্জলি তব রাঙ্গা-চরনে।
আনন্দি এলো ওই আনন্দ ভবনে!


প্রাক-বিজয়াঃ-


যেওনা চলে, হে নবমী রজনী-
সন্তাপহারিনী নয় তার আদলে;
তুমি গেলে; উমারানী আমার যাবে চলে।
তুমি হলে অবসান, যাবে মেনকার প্রাণ,
প্রভাত শিশির তলে; তব আঁখি জলে।
যেওনা চলে হে নবমী রজনী,
সন্তাপহারিনী নয় তার আদলে;
তুমি গেলে; উমারানী আমার যাবে চলে।
জানি, গিরিরাজ তনয়া শিবের ঘরণী,
আবার আসিবে ফিরে; বৎসরান্তরে,
বাহিয়া এ কালের তরণী।


বি দ্রঃ-


সমগ্র গীত কবিতাটি প্রচলিত আগমনী গান ও বিজয়া সঙ্গীত অনুধাবন করে, একটি নতুন আঙ্গিকে এবং সম্পূর্ণ সতন্ত্র ভাবরসে জারিত করে মহারাজ আপনাদের সামনে তুলে ধরল।


আশাকরি; জাতি,ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে এটি সকল স্নেহশীল মানুষের হৃদয়ের পরম আকুতি।


                                   ধন্যবাদ! Amar lekha prothom diker kobita guli jara akhono podenni tader kachche ekanto anurodh apnara doyakore ogulo ke ekti bar pore neben, bisheshoto: Rituraj, Noder chand, Groho theke grohantore, Raatpakhi ebong Ami o Priya.