রহমানুর রহিম তুমি বড়ই মেহেরবান
কেমনে গাহিব আমি তোমার দয়ার গান?
তুমি আসমান দিলে মেঘে ভরা,পুষ্পে ভরা বন
ভালবাসিবারে দিলে সাগর সম মন।
এতটুকু মনের ভেতর এত ভালবাসা
তুমি বিনে সাধ্য কার গড়তে করে আশা?
তুমি সুউচ্চ পাহাড় দিলে নদী গড়িতে
নদীকে শিখিয়ে দিলে সাগরে পড়িতে।
মাঝপথে বহমান তারি জলধারা
পান করে বেঁচে থাকে প্রাণীকূল সারা।
উর্বর করে জমি ভাসিয়ে দু'কুল
তারি মাঝে ফুটে কত দামী শস্যফুল।
সাগরের মাঝে দিলে সুবিশাল পাহাড়
তোমার মহিমা মানবেরে জানাতে আবার।
একটি বীজ ফেলে তোমার মাটিতে
কৃষাণ গৃহে তুলে তা বাটিতে বাটিতে।
কিংবা একটি বৃক্ষ হতে লক্ষটি ফল
তোমার বান্দা খেয়ে পায় দেহে বল।
তুমি আকাশে তারা দিলে দিক চিনিতে
চন্দ্র দিলে রাতে পথ দেখিতে।
পৃথিবীর চেয়েও হাজার গুন বড়
লক্ষ তারা আকাশে করেছ জড়ো।
তুমি সুন্দরী জায়া দিলে ভালবাসিতে
পুত্র-কণ্যা দিলে বুক ভরিতে।
ভ্রাতা ভগ্নি দিলে পাশে থাকিতে
আত্মীয়-স্বজন দিলে বিপদ রুখিতে।
তোমাকে চিনিতে দিলে জ্ঞান-বুদ্ধি
কোরআন দিলে বান্দায়ে হতে শুদ্ধি।
ভূগোল দিলে তুমি পথ চিনিতে
বিজ্ঞান দিলে তুমি পথ গড়িতে।
শূণ্য ভরে দিলে বায়ু সমীরনে
দম লয়ে সে বায়ু ভরি দেহ মনে।
মাটির নিচে কত অমূল্য রতন
উঁচু হল শত দেশ তা করে যতন।
মরুর বালুর নিচে রেখেছ ঢেকে
কত তেলের নদী গেছে এঁকে বেঁকে।
সেই তেল বেচে তারা অন্য দেশে
তোমার জমিনে আছে রাজার বেশে।
বৃক্ষের চর্ম পাতায় ওষুধ ভরে
রেখে দিয়েছ তুমি যতন করে।
জীবন বিনাশী কোন সর্প বিষে
লুকিয়ে রেখেছ গুণ ব্যধি নাশে।
আকাশ,পাতাল,মহাশূণ্য ভরে
রেখেছ নিয়ামত সাজিয়ে থরে।
আলোক বর্তিকা দিলে নবি ও রসূল
সঠিক পথ চিনতে করিনা যেন ভূল।
তোমার মহিমা এতই অপার
তা বর্ণনা করা সাধ্য বল কার?
আমি পাপি কম বখত্ বান্দা তোমার
নিজ গুনে ক্ষমিও সব গুনাহ আমার।।