মনে বড় আশা ছিল করবো আরেক বিয়ে
সেরওয়ানী পড়ব কেমনে পাকা চুল নিয়ে?
লাল শাড়ীতে রাঙাবউ আসলে আমার ঘরে
গ্রাম শুদ্ধ দেখবে তারে কত আপন পরে।
ঘুমটা তুলে বলবে মামি, "ভারি সুন্দর মুখ
এবার যদি খোকার মনে ধরে একটু সুখ।
আগের দুটো করল বিদায় রুপ ছিলো না বলে
এবার খোকার কাটবে জীবন হাত বুলিয়ে চুলে।"
আড়াল হতে বলবে হেসে ছোট ভাইয়ের বউ,
'' দাদার মত সুখী এবার হবে নাতো কেউ।
ভাহুজের মুখখানা মোর যেন চাঁদের মত
একখানা পাবে না মিল খুঁজে শত শত।"
নতুন বউকে নিয়ে যখন যাব শ্বশুড় বাড়ি
গায়ে থাকবে জরির জামা বউয়ের কাতান শাড়ী।
শালা শালি ঝাপটে ধরে বলবে, "দুলাভাই,
কম হলেও এবার কিন্ত দশ দিন থাকা চাই।
আজ এসেই আগামীকাল যদি ফেরো বাড়ি
তবে যেনো তোমার সাথে মস্তবড় আড়ি।"
শ্বাশুড়ী মোর রান্নাঘরে করবে আয়োজন
মেয়েটিকে তাঁহার কাজে বড় প্রয়োজন।
কিন্ত আমি নাছোড় বান্দা ওসব নাহি মানি
বউ বিনে অল্প সময়! তাও পারব না জানি।
এমনি ভাবে দিন তিনেক কাটিযে তখন
বাড়ি ফিরে কাপ্তাই গিয়ে করবো হানিমুন।
দুটি দেহ থাকবে যেন একই সুতায় গাথা
ক'মাস পরে বউকে দেখব বুনতে ছোট কাঁথা।
মুচকি হেসে আমর কানে বলবে ভালবেসে,
"মনে যেন থাকে সে আসবে চৈত্র মাসে।"
নতুন মেহমান আসবে আমার ছোট ঘরে
চুমোয় চুমোয় দেব তাহার ললাট খানি ভরে।
এমনি কত স্বপ্নে ঘেরা মনে ছিল আশ
পাকা চুল করল আমার বড় সর্বনাশ।।