তোমার আছে সপ্ততলা, আমার নেই কেন?
এই যাতনায় অহর্নিশি জ্বলছে বুক যেন।
ঘাড় বাঁকিয়ে দেখতে হয় তোমার গৃহচূড়া
এ ভাবনায় অর্ধ বয়সে হয়ে গেলাম বুড়া।
আলো জ্বলমল অট্টালিকা আমার বাড়ি ঘেষে
ভূমিকম্প মরতে যায় সুদূর নেপাল দেশে।
পুতে আমার রিক্সা চালায়, তোমার ব্যরিস্টার
কেন গাড়ী চাপায় লুলা হয় না পা দুইটা তার?
ডানা কাটা পরীর মত দেখতে তাহার জায়া
আমারটি বেটে, কালো যেন বাড়ির আয়া।
বউটি যদি বদল করা যেত তাহার সাথে
ভাটিয়ালি গান শুনাতাম শুযে এক বালিশে রাতে।
পায়ে হেঁটে বাজার করি, তুমি চড়ো গাড়ী
এ দুঃখ কেমন করে সইতে বলো পারি?
তাহার বাড়ির বাদ্য বাজনা শুনলে আসে জ্বর
'আল্লা' মস্তবড় ঠাটা একটা ঐ বাড়ীর উপর পর।
আমি গরীব কস্ট নাই তুমি ধনী হলে
এ কস্টেই দেহ মন যায়গো যেন জ্বলে।
সরকারী চাকুরি করে সে ঢাকার শহর বসে
আমি হাড়ি-পাতিল ফেরি করি গ্রাম-গঞ্জ চষে।
আল্লাহ্ শুধু দিবে আমায়, সবার চেয়ে বেশি
প্রজা বেশে থাকবে সবে আমার প্রতিবেশি।
এই ছিল স্বপ্ন চোখে, হল ধূলিসাৎ
তার হাড়িতে কোর্মাপোলাও আমার পান্তা ভাত।
গরীব আমায় করেছে খোদা, কস্ট নাই তাতে
আমি ছাড়া কোন শালায় ধনী হয় না যাতে।।      
            (সাংক্ষেপিত)