(তুরস্ক ও সিরিয়ায় ইতিহাসের ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতদের স্মরণে।)


এমন দুঃসময়ে মানুষ যদি  মানুষের পাশে না থাকে,
দুর্দিনে  চাপা পড়া শিশুদের উদ্ধারে নিজেকে গুটিয়ে রাখে।
নিদারুণ দুঃসময়ে  ক্ষতবিক্ষত হায় তুরস্ক, সিরিয়াবাসী,
দুঃখের আরেক নাম ভূমিকম্প  ভয়ংকর  সর্বনাশী।


আহা কত আশার সাজানো সংসার,
শিশুর শৈশব ছিল যেন নিখুঁত  বালুচর।
নববধূর মেহেদী হাত রক্তে  মিশে হয়েছে আরো লাল।
এ যেন সব দুঃখের মহাশোলক  বেদনার পোড়া কপাল।


যখনই মানুষের সম্ভাবনা  সবুজের রূপে ভেসেছে,
সব আকাঙ্ক্ষা সব গল্প অভিশপ্ত  ভূমিকম্পে উড়ে গেছে।
কোন এক রাতে অন্ধকার সমুদ্রের নিচে তলিয়ে যাওয়ার মত,
অথবা পাহাড় সমান ভাঙ্গা কংক্রিট  কপালে জমেছে যত।


মৃত্যু দুত আসার পরও মানুষের বারে বাঁচার আকুলতা,
এ পৃথিবী নশ্বর, আছে অহংকার আর পারস্পরিক প্রতিযোগিতা।
আহা কত  যুবক মৃত্যুর  হিম আস্ফালনের কাছে হেরে গেছে,
দেখো আজ সান্তনা জানাতে  উঠোনে কত লোক এসেছে।


তোমাদের শোকে রাতের  চাঁদও ছিল  কিছুটা বিষন্ন,,
জনপদের  পাখিদের ভূমিকম্পের আগের আচরণ ছিল ভিন্ন।
হয়তো দু ফোটা অশ্রু ঝরছে , হয়তো  ভুলেও  যাবো সব,
পৃথিবীর সব মিথ্যা বন্ধরে মেতে উঠবে নব উৎসব।


সব প্রান্ত থেকেই দৌড়ে এসেছে সাহায্যর অলৌকিক কিছু,
অথচ রাতেও কত স্বপ্ন ছিল মৃত্যু হেঁটে হেঁটে এসেছে পিছু।
ওহে পৃথিবীর আবাসন কম্পানির গুচ্ছ দল,
ভূমিকম্প সহনীয় ইমারত নির্মাণে কেন যেন এত কুটকৌশল।


আহা জানি মৃত্যুরা জানত না, এ অচেনা ঘাসে ঘুমাতে হবে,
কোথায় কখন মৃত্যু আসিবে স্রষ্টা ছাড়া আর কে জানিবে?
আমাদের দায়িত্ব হল মৃত্যুর প্রস্তুতি নিয়ে ঘুমোতে যাওয়া,
হয়তো জাগিবে না,আর যদি জাগে তাহলে ভাববো জীবন  ফিরে পাওয়া