আষাঢ়ের ঝুম বৃষ্টিতে মুরুব্বিরা  অনবরত গল্প বলতো,
কাঁঠালের বিচি পোড়া সঙ্গে খুদ ভাজা খেতে আসর জমতো
কাচারি ঘরে দাবা, কেরাম আর লুডু খেলা দলবেঁধে চলতো।,
পালতোলা নৌকা যেত খরস্রোত কুমার  নদীতে অনবরত


একদিন শহর রক্ষা বাদে নদীর স্রোত ক্ষীণ হয়ে এলো
বহুতলা ভবনে ভরে গেল শহরের ধান ক্ষেতগুলো।
শহরের খেজুর গাছগুলো গাছিরা ঝুরতে এলোনা  শীতে
হয়তো তারা  মরে গেছে হয়তো তাদের নাম ওনাই স্মৃতিতে


সেইসব পায়ে চলার রিক্সা এখন দেখা যায় কদাচিৎ
বর্ষার দিনে শহরের রাস্তায় চলতো,নৌকা অভিজিৎ,,
হাটের  দিনগুলো ছিল উৎসবের  ভালো খাবারের  ধুম
শহরের বাড়িতেও পাটের আঁশের ঘ্রাণে আসতো ঘুম  ।


পায়ে হেঁটে যেত স্কুলে কিশোরের দল,কোথায় সেই গোল্লাছুট
কানামাছি ভো ভো দাঁড়িয়ে বাধা, হাডুডু, ডেঙ্গগুটি,কুতকুত
পাখিরা এখন দল বেঁধে চলে গেছে গোসা হয়ে দীপ চরে,
দেখা যায় না ধবলবক,কাশফুলগুলো ফোটে না নদীর ধারে।


সে সময় ছিল রঙিন কাগজে সাজানো  বাসর ঘর,
কলা গাছের গেইট আর দেবদারু পাতার সমাহার।
সারিবদ্ধ হয়ে বসে কলার পাতায় জিয়াফত খাওয়ার ছবি,
সেই সব দৃশ্য ঐতিহ্য আমাদের,এখন  দারুন ভাবে ভাবি


এক টুকরো উঠোন থেকে পায়রাগুলো উড়ে যেত নীলিমায়,
শীতের সকালে গাঁদা ফুল ফুটতো শিশুরা দুলতো  দোলনায়।
এখন খন্ড বিখন্ড হয়েছে জমি,চাষাবাস হয়েছে সীমিত,
এখন মানুষের হৃদ্রতা ভাগ হয়েছে,স্বার্থের কাছে পরাজিত।


তবু নিরন্তর প্রচেষ্টা আত্মীয়ের  সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার,
তবু মধ্যবিত্তের প্রতি মুহূর্ত অভিনয় করতে হয় ভালো থাকার।
তবু শিশুদের, প্রয়োজনে পুরনো দিনের গল্প  শোনাতে হয়,
গল্প আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের ইতিহাস শুধু রূপকথা নয়।