হঠাৎ এক সুন্দরী মেয়ের সাক্ষাৎ
মোঃ মেহেদী হাসান
এক দিন বিকাল বেলা আমি বনে পাখি শিকার করার জন্য রওনা দেই। পাখি শিকার করতে করতে আমি বনের শেষ প্রান্তে গিয়ে পৌঁছাই। হঠাৎ দেখতে পাই এক সুন্দরী মেয়ে আলতা রাঙা পায়ে, নুপুর পড়ে, লাল টুক টুক সাড়ি পড়ে নদীতে কলসি ভরে পানি বুড়াচ্ছে। আমি মেয়টির দিকে তাকিয়ে রইলাম, কী অপরুপ সুন্দর। এই রকম সুন্দর মেয়ে আমি আগে কখনও দেখি নাই। মেয়েটি কলসি বুড়ানো শেষ করে জাওয়ার সময় আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিয়ে চলে গেলেন। আমি তখন মেয়েটির কাছে তার পরিচয় জানার মতো সাহস ও মনোবল আমার ছিল না। আমি বনে পাখি শিকার করা শেষ করে রাজ প্রশাধে চলে আসছি। তার পড় রাত্র বেলা ঘুমের মধ্যে আমি সপ্নে ওই মেয়েটিকে দেখতে পাই। কী সুন্দর ভাবে বধু রুপে শেজে গুজে বাসর ঘড়ে বসে রয়েছে। তখন আমার ঘুম ভাঙ্গলো। তার পড় আমি আবার বিকাল বেলা ওই বনে পাখি শিকার করার জন্য রওনা দেই। বনের শেষ প্রজন্ত গিয়ে ওই মেয়েটিকে আর দেখতে পেলাম না।আমি মেয়েটির জন্য অনেক খুন অপেক্ষা করলাম, কিন্তুু তার দেখা পেলাম না। আবার রাত্র বেলা মেয়েটি সপ্নে এসে বলেন, যে আপনি কী আমার কথা ভাবছেন।আমি তো আপনার জন্য বধু সেজে বাসর ঘড়ে বসে আছি। তখন আমি সপ্নের মধ্যে চমকে জাই।তার পড় আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। পড়ের দিন বিকাল বেলা আমি পাখি শিকার করার জন্য ওই বনে রওনা দেই। হাটতে হাটতে বনের শেষ পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছাই। কিন্তুু মেয়েটির সন্ধান পেলাম না। এই ভাবে আমি অনেক দিন মেয়েটির জন্য অপেক্ষা করতে থাকী।প্রতি দিন মেয়েটির কথা চিন্তা করতে করতে আমি পাগল পড়া হয়ে যাচ্ছি।এদিকে রাজ প্রসাধের সবাই আমাকে নিয়ে চিন্তা করছে। যে হঠাৎ রাজা সাহেবের কী অসুখ দেখা দিল।উজির গন অনেক ডাক্তার, কবিরাজ খাবার দিলেন। আমার চিকিৎসা করার জন্য, কিন্তুু কেউ আমার রোগ খুঁজে পেল না। আমি যেন মেয়েটিকে দেখার জন্য অনেক অস্থির হয়ে পড়ি। দিনের পড় দিন ওই মেয়েটির জন্য অপেক্ষা করতে করতে যে আমি পাগলের মতো আমার চুল, নখ, দাড়ি ও মোচ বড় হয়ে গেছে। রাজ্যের উজির থেকে শুরু করে সকল মানুষ আমাকে পাগল বলতে শুরু করলেন। একদিন আমি হঠাৎ দেখতে পাই যে,অনেক মেয়ে মিলে নদীতে কলসি ভড়ে পানি নেওয়ার জন্য আসতে আছে। আমি খুবি আন্দদিত হই।কিন্তুু ওই মেয়ে গুলোর মধ্যে তাকে দেখতে পেলাম না। সবাই আমার দিকে তাকিয়ে পাগল বলে চিৎকার করতে করতে বাড়িতে চলে গেলেন। আমিও তাদের পিছু পিছু রওনা দেই, যেতে যেতে অনেক দূরে গেলাম। তার পড় আমি কেলান্ত হয়ে পাড়ি।কীছু খুন বিচরাম নিলাম তার পড় চার দিকে তাকালাম কোন কিছু দেখতে পেলাম না। হঠাৎ অনেক দূরে একটি কুঁড়ের ঘড় দেখতে পেলাম। আমি ওই কুঁড়ের ঘড়কে লক্ষ করে চলতে লাগলাম। ঘড়টির নিকট গিয়ে আমি বলাম আমি এক পথিক আমার পিপাসা লেগেছে,একটু পানি খাওয়াবেন। তার পড় একটি সুন্দরী মেয়ে এক গ্লাস পানি নিয়ে এলো, আমি পানির গ্লাসটি হাতে নেই। তার পড় তার দিকে তাকালাম দেখি সেই সুন্দরী মেয়ে জার দেখা পাওয়ার জন্য নদীর ধারে দিনের পড় দিন অপেক্ষা করতাম। মেয়েটি আমার দিকে অনেক খুন তাকিয়ে রইল। তার পড় আমি বলাম আপনি আমার দিকে কেন তাকিয়ে রয়েছেন। মেয়েটি উত্তর দিলেন, যে আপনি সেই পাখি শিকারি? আমি উওর দিলাম হ্যাঁ।তখন মেয়েটি বলেন, আপনার এ অবস্থা কী করে হয়েছে। আমি তাকে সব ঘটনা খুলে বলাম।তার পড় মেয়েটি আমার দিকে তাকিয়ে কেঁদে দিলেন। আমি তাকে বলাম যে আমি এই রাজ্যের রাজা আমি তোমার সুন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়েছি।আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই। মেয়েটি বলেন, যে আমি এতিম আমার মা ও বাবা নেই। আমি এক গড়িব ঘড়ের মেয়ে আপনার বাড়ির কাজের লোক হওয়ার জগ্যতা আমার নেই। আমি বলাম যে তোমার কোন চিন্তা নেই। আমি তোমাকে বিয়ে করে স্ত্রী মর্জদা দিব।তুমি আমাকে বিয়ে করবে কী না বলো।মেয়েটি আমার কথা শুনে চমকে জায়। আমি বলাম ভয় পাওয়ার বা ঘাবরানের কোন কারন নাই।মেয়েটি আমাকে একটি সাবান দিল এবং একটি তোয়ালে দিয়ে বলেন, আপনি গোসল করে আসুন। আমি গোসল শেড়ে আসলাম। মেয়েটি আমার সব নক কেটে দিল।দূর থেকে এক নাপিত ডেকে এনে আমার সব চুল, মূখ ভরা দাঁড়ি ও মোচ ফেলে দিলেন। আমি যে সেই আগের মতো হয়ে জাই। তার পড় আমি দূর থেকে এক বৃদ্ধা হুজুর ডেকে এনে বিয়ের কাজ সম্পূর্ণ করি।মেয়েটিকে বধু সাজিয়ে আমার রাজ দরবারের উদ্দিশে রওনা দেই। রাজ্যের উজির সহ সকল মানুষ আমার আগমন দেখে আনন্দিত হয়।তার পড় ঢাক ঢোল বাজিয়ে আমাদের রড়ন করে নেয়। তার কিছু দিন পড় আমাদের সংসারে একটি ফুট ফুটে কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহন করেন। সেই কন্যা সন্তানটি নিয়ে আমাদের সুখের সংসার শুরু হয়। তাই দেখে উজির সবাই আন্ধিত হয়।তার পড় থেকে রাজ্যে আবার আগের মতো ধুম ধাম করে চলতে থাকে।