বারান্দার ওপাশে একটা বাড়ি
সে বাড়িতে ফুটফুটে কিশোরী এক মেয়ে কাজ করত।
অট্টহাসী ছিল মেয়েটার, নাচনী দোয়েলের পুচ্ছের
তালে মাথায় তুলত বাড়িটা।
আচমকা সে বাড়িতে এক জটলা লোক জড়ো আজ।


কি কারনে? মাকে জিজ্ঞেস করলাম।
-"কাজের মেয়েটা মরে গেছে!"
বলে কি-রে, এত সুস্থ সবল মেয়ে
হাসত, খেলত, বাড়ির বড় ছেলেটার সাথে
ইশারায় কথা বলত, দু'জনের ভাব ছিল
এমনি ভাবতাম।


ফর্সা ছিল মেয়েটা
গোলাপের মত চোখ ছিলনা তার
তবু কাচ-তেলে জ্বলত তার চোখ
চুল ছিল গাঙ্গের ঢেউয়ের মত কোকড়ানো, কালো
ওরনা পেচিযে মারা হয়েছে তাকে।


[পরে জেনেছি]
দোষ ছিল তার প্রেম
আর পেটে ছিল তাদের সন্তান।


বাড়িটা নিরব আজ, শবদেহের মত
আকাশ ভাঙেনি তবু, দাঁড়কাক-শকুনেরা
ব্যস্ত আগের মত। নগরীর ইটে শব্দেরা
চাপা পড়ল, হারিয়ে গেল কত ব্যথা
সভ্যতার পাথরের বুক জানে জমা তার কথা।