রাস্তায় যখন নামলাম
মোড়ের ছেলেরা শিস বাজাল
স্কুলের গেটে ঠিক একই রকম ছেলে দেখলাম।
আমাদের পিওন, আশপাশের দোকানদার ও
জঞ্জলের মত ঘেরা জমায়েত এতে বেশ মজাই পাচ্ছিল।


কিন্তু ওদের শিস...ক্রমশ: শত শত হল
আমার কানে ট্রেনের হুইসেলের মত বাজতে লাগল
-স্যার, আমার বাড়ি ফিরতে ভয় করছে
-জ্বী, শুনতে পাইনি
-আমার বাড়ি ফিরতে ভয় করছে
তিনি হাসলেন, নিজের মত চলতে শেখ।
হাঁটলাম, চারিদিক কেমন পাহাড় পর্বতের মত
ভারী হয়েছে, কেমন নিস্তব্ধ, এত মানুষের মাঝে
একা। গা ছমছম করল।
আশেপাশের এইসব চেনা মানুষেরা আজ
অচেনা পাহাড়।


মা-বাবাকে জানালাম, বাবা বেড়ালের মত ছুটল
এবং ফিরে এসে ঘরের ভেতর ইদুরের গর্ত
তৈরী করতে লাগল, কারো কথা শুনলনা সে।
আর মা বোরখা নিয়ে এল একটা।
বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ হল আমার।


কিন্তু এই সমস্ত মানুষ, যারা ঘাস খেয়ে
অরণ্যের জঞ্জলের মত চুপ থাকত
তাদের বাড়ি-ঘরে ইদুরের গর্ত দেখা গেল।
তবুও চুপ থাকল নীতিবাগীস লোকেরা,
যেন অপেক্ষা করল আমার মৃত্যু পর্যন্ত।


অতপর একদিন খবরের কাগজে দৌড়াল তারা
"বখাটে ছেলের উত্পাতে মেয়েটা মারা গেছে"
এতটুকুই-
এরপরে আর কোন খবর বেরুল না।
রাস্তা বা মোড়ে শিস দেয়া বন্ধ হল না।
কিছুদিন পরপর একে একে আমার
সাথী হতে লাগল ইদুরের ঘরে থাকা
হাজারো মেয়েরা।


-মাহফুজ
৪ঠা মে,২০১০