হাত বাড়িয়ে দিলাম। আমাদের সমস্ত পা বন্ধি থাক,
আমাদের বিবেক আর দারিদ্রতা তোমাদের পুঁজি
আমাদের রক্ত আর ঘামগুলো ইমারত হয়ে যাক
আমাদের অর্থনীতি দাসপ্রথার হাতিয়ার হয়ে হয়ে
একদিন, পৃথিবীর সব ঘুম ভেঙ্গে গেলে
এই পথে তোমাদের আমন্ত্রণ করে গেলাম।


যখন সন্ধ্যা তার ভালবাসা হারায়
কঠিন বাস্তব এক অন্ধকার বসে মুখোমুখি
যুগল পাখিরা তার ইতিহাস রচনার শেষে
বলে ফের, চাঁদ আর ফুল ছেড়ে
এক মুঠো অন্ন এনে দে ।


সেই থেকে শাহানার ঘুম নেই।
বুভুক্ষ শিশু তার, খেতে চায় সব কিছু
কাঁদে, চ্যেঁচ্যাঁয় উচ্চস্বরে, দুনিয়া ফাটায়
তার আরো খাবার চাই, তার দিকে সবে চেয়ে
দুনিয়ার সব দায় তার উপর এসে পড়ে
শরীর ভেঙে গেলে বিবেকের মাথা তার নুয়ে গেলে
মৃদু পায়ে হেটে হেটে জীবিকার মরণ ফাঁদে যোগ দেয়
সেই থেকে প্রতিদিন



যদিও আর কিছু হারাবার ভয় নেই
যা ছিল, জীবিকায় খেয়ে গেছে
কর্পোরেটের চাকাগুলো ঘামঘন আয়ুষ্কাল খেয়ে নিলে
বিভুৎস জীবাণুর ঘর-বসতি হলে সারা দেহ
একদিন উচ্ছিষ্টের অভিশাপ নিয়ে বাড়ি ফিরে
তখন এক অন্ধকার বসে মুখোমুখি
সেই থেকে তার আর দেখবার কেউ নেই
যারা তার কাম খেয়ে ঘাম খেয়ে
হাড় গোর রক্ত খেয়ে ঢের বেশি পুষ্ট হয়
আজ তার কেউ নেই তার পাশে।


০২/০৫/২০১৩