মম হৃদয় অাকাশে যবে সুখ নাহি তাই দুখ অাসে,
হায় বুক ফাড়িঁ আর চোখের জলে বুক ভাসে...!
তাই চক্ষুশীতল নাহি করি সুখ বিনা হায় রহি...,
দুঃখ সাথে সঙ্গী করে হৃদয় মাঝে সুখ বহি...!
শান্তি তব নাহি মিলে, না মিলে না পাই যদি..,
তবে অাকাশতলে বিদারী দিয়ে চক্ষুভেসে না কাদিঁ।
রঙিন যদি না হয় তবে , বুক চিরে হায় না মরি..,
পূরণ যদি হয় না কিছু যা আছে তাই অাঁকড়ে ধরি।
সাগরতলের মুক্তা খুজেঁ না মিলে পাই রত্নখানি..,
তবে গগনফেড়েঁ উড়িঁয়া গিয়ে মুক্তমেঘের পুঞ্জটানি।
তলমুখে যাই পাতাল ফুড়েঁ সাঙ্গ করি দুঃখ যত..,
দহন করি যাতনাগুলো অগ্নিতলে দহনরত..!
রৌদ্রজলে বাসনা করি খড়কুটোটুকু আকড়েঁ ধরে...,
দুঃখটাকে বরণ করি ; না রাখি তারে অনাদরে।
দুখ দেখে মোর চোখ হাসে.., অট্টহাসির উচ্চস্বরে..,
শীতল তব হয়না হৃদয়, বেদনাতে যাই মরে...!
বুকফাটে মোর পিপাসাতে না মেলে হায় সুখপানি..,
ব্যক্ত নাহি করিয়া মরি যা আছে মোর দুখখানি।
সুখনিবাসে বাস করি হায় দুখনিবাসে মরি..,
"যাতনাগুলোয় অাগুন জ্বালাই" পারলে তাহাই করি!
দুঃখরাতের বাসনাযত না পাই তব নাহি মিলুক..,
অন্ধরাতের বন্ধঘরে বেদনারি অাগুন জ্বলুক...!
দুঃখ তাতে না অাছে মোর, না পাই যদি সুখ কিছু..,
অাড়াঁলে তবে মরিয়া বাচিঁ অাধাঁর রাত্রী হোক পিছু।
ঘুচাই অামি দুঃখযত অন্ধঘরের যাতনাযত...,
না মিলুক তবে অাশাখানি রহে থাকি বেদনারত..!
বন্ধদুয়ার ভাঙ্গিয়া ফেলি লাথি মেরে দেইঠেলা আর,
চক্ষুভেসে অশ্রুগড়াই অবসান করি শত যাতনার.!
সুন্দর করি বসুধার ভূমি, অাখিঁর অশ্রু দিয়ে...,
মম চরণতলে দলিয়া মারি বেদনারে ভাসায়ে..!
জ্বলুক অাগুন না পাই পানি..,অন্ধচোখে বুকভাসি...,
মৃত্যুপথের যাত্রী হয়ে অাধাঁর রাতে দেই ফাসিঁ...!
গহন রাতে স্বপন দেখি ; অট্টালিকার সুখ সায়রী..,
ধরার তলা মুক্ত করি; বিহঙ্গ হয়ে গগনফাড়িঁ...!
চোখের পানি মুছায়া দিয়ে ধরণী বুকে চরণ ফেলি..,
যাতনা চাদড় বিছায়া দিয়ে তাহার উপর পথ চলি..!
বুক ফাটে মোর দুখ হেতু তাই সুখ নাহি মোর কাছে,
অাকড়েঁ ধরে মরিয়া চলি তাহার মাঝেই সুখ অাছে!