বলেছিলাম একদিন কথার ছলে
যে আমায় এখন কদমফুল সাথে নীল শাড়ী
আর কাচের চুরি দিয়ে বলবে
ভালোবাসি তোমায় আমি,
তখন চোখ বন্ধ করে বলে দিবো আমিও-বাসি।
মনে আছে নিশ্চই তোমার।
তখন তুমি কী করেছিলে,
মুষলধার বৃষ্টির মাঝে উঠে দিলে দৌড়
আর আমি জিঙ্গাস করাতে বললে-
যেখানে ইচ্ছে সেখানেই যাব আমি, তোর কী?
আমি ভেবাচ্যাকা খেয়ে আর কথা বাড়ালাম না।


তুমি কী করলে,
কোথায় থেকে যেন
হাতে একগুচ্ছ কদম ফুল সাথে নীল শাড়ী
আর কাচের চুরি নিয়ে আমার
সামনে হাঁপাতে থাকলে।
মনে আছে নিশ্চয় তোমার।
জানতে চেয়েছিলাম, কনুই থেকে রক্ত পড়ছে কেন
হাতে কদম গুচ্ছ তুলে দিয়ে কী বললে,
তোর জন্য।
আমার জন্য তাই না।
জানো রাগে তখন আমার শরীর জ্বলে পুড়ে যাচ্ছিল।
আর তুমি আমাকেই দেখছিলে।


হাঁসি-ঠাট্টার সম্পর্কই ছিলো তোমার সাথে।
তবে ভাবতে পারিনি কখনোই
ভালবাসবো তোমায়।
খোলা আকাশের নিচে একা বসেছিলাম
মনে হচ্ছিলো যদি তুমি পাশে বসে থাকতে
কতই না ভালো হতো,
কী বলো তো
পিছনে তাকাতেই দেখি তোমায়
তখন ঠোটের কোনে অন্যরকম
তৃপ্তিময় হাঁসি ফুটেছিল।
অনুভূতিটা আজও বিচরন করে আমার মাঝে।
তুমি নিশ্চই ইহা জানতে না।


বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে
নদীর তীরে গিয়েছিলাম।
ঐদিন সকলেই নীল শাড়ী, নীল টিপ,
কাচের চুরি পড়েছি।
আমি পড়েছিলাম তোমার দেওয়া নীল শাড়ীটা।
এক সাথে বসে আড্ডাদিচ্ছি, কেন যেন
মাথার পিছনে হাত দিতেই
কিছু একটা অনুভব হলো।
সৌরভ মাখানো তৃপ্তিতে পরিপূর্ণ
অতি পরিচিত একটা সুভাষের সাড়া পাচ্ছিলাম।
একটু দূর তাকাতেই তোমার দেখা,
এমন ভাবে বসে ছিলে যেন আমাদের দেখোনি,
আমি কিন্তু ঠিকই বুঝেছিলাম
খোপায় বেলিফুলের মালাটা তুমিই গেঁথেছিলে।
বন্ধুদের সকলকে বললাম
আমি পড়ে যাবো তোরা যেতে পারস।
তারপর নিঃশব্দে তোমার পিছনে কিছুক্ষণ
দাড়িয়ে ছিলাম, কিন্তু তুমি-
তুমি বুঝতেই পারলে না।
এরপর আর কী
মাথায় একটা দুষ্টু বুদ্ধি চাপলো
দিলাম পিছন থেকে প্রচন্ড এক চিৎকার
তুমি কী করলে-
ভয় পেয়ে পানিতেই পড়ে গেলে।
মনে আছে নিশ্চই।
তারপর কয়েকটা ঘোরমুরি খেয়ে তীরে উঠলে।
কী যে ভয়ই না পেয়েছিলে তুমি।
আমারটা না হয় বাদই দিলাম।


দেখো একটা সময় এসে আমাদের
সম্পর্কটা পূর্ণতা পেলো।
তবে কী জানো
ভলো- লাগার দিনগুলো
মনে পড়ার ডাইরিতে চলে গেলো।