রোজ বিকেলে র নিস্তব্ধ খোলা-মেলা জায়গা,
চারদিকে সবুজের আলাপ-আলোচনা,
আর মাথার উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে-
শত-শত পাখি, তাদের নিজস্ব ভাব-ভঙ্গি তে।


পায়ের নিচে রয়েছে নিস্তব্ধ মাটি,
বাতাস শন-শন করে কী যেন বলে-বলে যাচ্ছে,
আর আমি,
আমি রয়েছি ঠিক মাঝখানে,
এক অনুভূতি হীন, একলা এক জগৎ তে।


সূর্য ডুবে যাচ্ছে, আর আমাকে কী যেন বলে যাচ্ছে।
কিন্তু আমি,
আমি হচ্ছি এক অনুভূতিহীন
একলা এক জগৎ তের বাসিন্দে।
আর দিন আমার এভাবেই যাচ্ছে চলে।


হঠাৎ এক পড়ন্ত বিকেলে দেখি,
রোজ বিকেলে র নিস্তব্ধ খোলা মেলা জায়গা টা-
কে যেন দখল করে নিচ্ছে,
আমার সেই
চার-দিকের সবুজের আলাপ-আলোচনা
কে যেন এসে শুনে নিচ্ছে।


কে যেন এসে বলে যাচ্ছে-
স্বাগতম, হে প্রিয় স্বাগতম।
যেন শিখিয়ে যাচ্ছে আমাকে অনুভূতি।
অনুভূতি! অনুভূতি! অনুভূতি।


আর আমি শুধু বলে যাচ্ছি সে-কে, সে-কে।
গোলাপের মতো তার সৌন্দর্য!
কোকিল যেমন করে মানুষের মন-
ভরিয়ে দেয় তার সুমধুর কণ্ঠে,
সেও যেন আমাকে ভরিয়ে দিয়েছে তার-
সু-মধুর কাব্যে!


আর আমি বলছি-
কে তুমি হে, কে তুমি
সে আমাকে কিছু না বলে
কোথায় যেন হারিয়ে গিয়াছে,
এখন আর তাকে যাচ্ছে না দেখা
সেই নিস্তব্ধ বিকেলে।


সবুজের আলাপ-আলোচনা
এখন আড়ত কেউ শুনতে পাচ্ছে না।


তখন আমি বসে থাকি অধীর আগ্রহে
সেই অনুভূতি কে নিয়ে।


আসলে কী অনুভূতি নিয়ে বসে আছি আমি?
আমি কী সবুজের আলাপ-আলোচনা শুনতে পাচ্ছি?
তার মানে কী?


আমার অনুভূতি কী যেন বলে যাচ্ছে?
ভালবাসি! ভালবাসি বলে!
আসলে কাকে ভালবাসি?


ভালবাসি অনুভূতি কে, আমি আমার অনুভূতি কে ভালবাসি।
ভালবাসি সেই মেয়েটিকে, যে শিখিয়েছে আমায়,
যে আমার কাব্যে ভেসে আছে,
যে কানে- কানে বলে গিয়াছে-
স্বাগতম হে প্রিয় স্বাগতম।


ভালবাসি আমি! ভালবাসি সেই মেয়েটিকে,
আর বসে আছি অধীর অপেক্ষায়।
নাম না জানা, ভালবাসার-
সেই মেয়েটি, সেই মেয়েটি।