জন্মান্ধ


আলো আঁধারের ভেদ অভেদ আমি বুঝিতে পারি না
আলোর রং কি? দেখতে কেমন জানি না
আঁকি মানবের অবয়ব কল্পনায়; সৃষ্টির সেরা জীব দেখতে কেমন!
সাদা-কালো লাল-সবুজ সব রং মিশে আঁধার যেমন?
শুনে, অনুভবে আঁকি মানস পটে
একটা কিছু হয়তো ভেসে ওঠে।
ফল ফুল জল মানুষ প্রাণী রং সব কিছু কল্পনা করি
দেখতে পাইনা কিছুই- কেবল অনুভবে ধরি।
উদ্দেশ্য কী হতে পারে-
আমার জনমের?
কেন, জন্মান্ধের জীবন এতো কষ্টের?
উত্তর খুঁজে খুঁজে বিমর্ষ হয়ে পড়ি
নীরবে গুমড়ে কান্না করি
না দেখা, না পাওয়ার বেদনায়
কেন বাঁচতে হয় অন্যের করুণায়!
এভাবে বেঁচে থাকা তো নয় জীবন
জীবন মৃত হয়ে থাকার চেয়ে শ্রেয় মরণ।
হে করুণাময়! আমায় আলো দাও
আঁখি থেকে ঘোর আঁধার কেড়ে নাও।
দূর করে দাও অন্ধত্ব
করো না আর কাউকে জন্মান্ধ।
ধরিত্রীর সব মিশে হয়েছে নিকষ আঁধার
আঁধারে ঢাকা এই ধরিত্রী আমার।


কবি:মাহমুদ লতিফ, বই: বিজেত্রী বীরাঙ্গনা, প্রকাশক: নীলরঙ্গ